কিছুদিন আগে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ-বিরতি চুক্তি হয়েছিল। যুদ্ধ বন্ধের পর পনবন্দীদের অনেককে দুই পক্ষ ছেড়ে দিচ্ছে। বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজা উপত্যকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে এবং এতে অন্তত দুই গাজাবাসী নিহত ও একটি শিশুসহ সাতজন আহত হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইরানের সরকারি মিডিয়া পার্স টুডে।
ওই খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইহুদিবাদী সেনারা উত্তর ও দক্ষিণ গাজার মাঝখানে একটি করিডোর নির্মাণ করে। দখলদার সেনাদের হামলা থেকে বাঁচতে যারা উত্তর গাজায় নিজেদের ঘরবাড়ি ত্যাগ করে উপত্যকার দক্ষিণে চলে গিয়েছিলেন তারা যাতে উত্তরে ফিরে যেতে না পারেন সেজন্য ‘নেতজারিম’ নামক ওই করিডোর স্থাপন করা হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় পালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিরা নির্বিঘ্নে উত্তরে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে পারবেন।
কিন্তু ইসরাইলি সেনারা যুদ্ধবিরতির শুরু থেকেই এ কাজে বাধা দিচ্ছে এবং গতকাল (রোববার) হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নেতজারিম করিডোরের কাছে জড়ো হলে দখলদার সেনারা তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়, ফলে নয়জন গাজাবাসী হতাহত হন। এছাড়া, ইহুদিবাদী সেনারা দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরেও একজন ফিলিস্তিনি তরুণকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস রোববার এক বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদেরকে দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তরে ফিরতে বাধা দিয়ে ইসরাইলি সেনারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলী বাস্তবায়নের কাজে বাধা দিচ্ছে দখলদার ইসরাইল।”
ওদিকে তেল আবিব দাবি করছে, গাজায় আটক ইসরাইলি নারী পণবন্দি আরবেল ইয়েহুদকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় যেতে দেয়া হবে না।
পার্স টুডের খবরে আরো বলা হয়েছে, হামাস এ পর্যন্ত দুই দফায় ২৯০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে সাত ইসরাইলি নারী সেনাকে ছেড়ে দিয়েছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে, ইয়েহুদ বেঁচে আছেন এবং তাকে পরের দফায় মুক্তি দেয়া হবে।