নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, ৭ এপ্রিল ২০২৩
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সংখ্যালঘু মন্ত্রী হতেই কালিঘাট অভিযান করলো মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ চাকরি প্রার্থীরা। শনিবার রোযা রেখে অনেকে বিক্ষোভ দেখান। চাকরি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ ছিলো ৩১৮৩, আপটু ডেট হওয়ার কথা ২০১৬ পর্যন্ত। সেই হিসাবে শূন্যপদ হওয়ার কথা প্রায় ৫০০০। কিন্তু ২০১৮ সালে প্যানেল লিস্ট প্রকাশ না করে কাদের নিয়োগ করেছে, কত নিয়োগ করেছে কিছুই জানায়নি কমিশন । পরে জানা যায় প্রায় ১৯০০ জন কে রেকোমেন্ডেড করেছে মাদ্রাসা গুলোতে, নিয়োগ হয়েছে মাত্র ১৫০০ শূন্যপদে। সেখানেও প্রচুর দূর্নীতি। পরীক্ষায় বসেনি তাদের ও কমিশন নিয়োগ করেছে এমন দুজন শিক্ষক ধরা পড়ে ২ বছর বেতুন নিয়ে নেওয়ার পর। কমিশনের কোন নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়নি। খাতা কে বিকৃতি করা হয়েছে। কি নিয়মে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্নের ও উত্তর নেই কমিশনের আধিকারিকদের কাছে। দূর্নীতিতে ভর্তি এই কমিশন। যে আর টি আই গুলো দেওয়া হয়েছে একাডেমি ইভালুয়েশন ২০১০ গেজেট রুলসের সাথে মিল খাচ্ছে না। প্রত্যেকর মার্কস বেশি হয়ে যাচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের নেতা মনিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ চার বছর ধরে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করছে, সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কিন্তু নিয়োগ অধরা। 6slst নিয়োগের সময় মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি। তা সত্বেও এতো বঞ্চনা কেন, অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের?”
তিনি জানান,ভোটের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি স্বয়ং বলেছিলেন নিয়োগ দিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি। গত ১৪ অক্টোবর মাননীয় মন্ত্রী গোলাম রাব্বানী আশ্বাস দিয়েছিলেন দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগ না হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ৬ এপ্রিল মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাড়ি কালিঘাট অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিলো,কিন্তু পুলিশ বল প্রয়োগ করে চাকরি প্রার্থীদের হাজরা মোড়েই আটকে দেয়।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ প্রার্থী মঞ্চের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৩সালের বিজ্ঞপ্তির ৩১৮৩ শূন্যপদের মধ্যে ২০১৮ সালে প্যানেল লিস্ট ছাড়াই নিয়োগ করেছে মাত্র ১৫০০। হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ রয়েছে নিয়োগের। কিন্তু বারংবার প্রতিশ্রুতি সত্বেও নিয়োগ অধরা। মুখ্যমন্ত্রী তথা মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী না থাকায় কালিঘাট থানার বড়বাবু হস্তক্ষেপ করেন এবং ডেপুটেশন কপি মুখ্যমন্ত্রীর সেক্রেটারীর কাছে জমা দেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে সমস্যার সমাধান না হলে আগামী সপ্তাহে কালিঘাটে অনশন বিক্ষোভ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই দূর্নীতি পরায়ণ সরকার মাদ্রাসা গুলোকে শিক্ষক না দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। রাজ্যের সমস্ত স্তরের জনগণের কাছে আবেদন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচতে অপদার্থ সরকারের বিরুদ্ধে সকলে রাস্তায় নামুন।”