আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতীয় সিনেমার অস্কার,ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকবেন বলিউড জায়ান্টরা। কিন্তু প্রশ্ন হল,যে কারনে হলিউডের মেরিল স্ট্রীপ এখন সংবাদের শিরোনামে, সেই পথটাই কোনো ভারতীয় অভিনেতা আগামি কাল করে দেখাতে পারবেন কি? আর কোনো অভিনেতা বলতে প্রথমেই মনে আসে শাহরুখ খানের নাম, কারন তিনিই তো বলিউড বাদশা, তাই ঘন্টা তাঁকেই বাধা উচিত। তাছাড়া ভারতীয় বৈধ দুষ্ট রাজনীতির শিকার শাহ রুখ খান ও করন জোহর ছাড়া আর কেউ তাদের সিনেমা নিয়ে এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কি?
সেই ‘মাই নেম ইজ খান’ এর সময় পাকিস্থান ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা বলায় তান্ডব হোক বা হালের ‘এ দিল হ্যায় মুসকিল’তো আর এক সার্কাস। কি বলছে তান্ডবকারীরা? যে প্রডিউসারদের ডোনেট করতে হবে সেনাবাহিনীর ফান্ডে। কেন? কারন তাদের মত কিছু জঙ্গি সীমান্ত পার হয়ে ভারতীয় সেনাদের মেরে ফেলেছে! এটাই ভারতবর্ষ, যেখানে একটা সম্পুর্ন বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রডাক্ট চালু করার জন্য এমন একটি অথোরিটির কাছে থেকে অনুমতি নিতে হয়, যার অস্তিত্ব ভারতীয় সংবিধানের কোথাও নেই, একমাত্র পার্লামেন্ট ছাড়া। আর যদি কেউ মনে করে আমার জন্মদিনে দেশের অবস্থা নিয়ে কিছু বলবেন, তবে আপনার দেশপ্রেম, নাগরিকত্ব, আর ইয়েতে পাকিস্থানি সিলমোহর লাগিয়ে আর ‘বরকত’ময় ভাষন দিয়ে শান্ত হবেন এই হাফপ্যান্ট ওয়ালারা।
“এদের জন্মের শংসাপত্র কোথায়? এদের বলিউড থেকে বের করে দিন, তখন আপনাদের ‘মিত্রাও’ মার্কা ভাষন আর অর্নব গোস্বামী ছাড়া কিছুই দেখতে পাবেন না”
তাই বলে এলএ-র রাস্তা ঘাটের মত সেখান কার রাজনীতি মোটেই মসৃন নয়। বরং আরও ভয়ঙ্কর। এখানে জাতের নামে বজ্জাতি হয়, আর ওখানে মেলে কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি। এখানে প্রশ্ন করলে হয় আপনি মাওবাদী নয় পাকিস্থানি আর ওখানে আপনি আপনাকেই দেখতে পাবেন। তাই যখন সাংবাদিক সার্জ কোভালেস্কি প্রশ্ন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, উত্তরে মেলে কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি। তাই সদ্য হয়ে যাওয়া গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড ফাংশানে তিন বারের অস্কারজয়ী মেরিল স্ট্রীপ প্রশ্ন তোলেন।
তাই আগামীর ফিল্মফেয়ারে শাহ রুখ খান কি বলবেন? “ধন্যবাদ, ধন্যবাদ সকলকে। চলতি বছরে কয়েকটা তুঘলকি পারফরম্যান্সই আমাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। না! এটা যে খুব ভাল পারফরম্যান্স তা নয়। তবে তা খুব কার্যকরী হয়েছে। তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের জন্য। অসহিস্নতা নিয়ে কিছু বলে আর পাকিস্থান যেতে চাইনা। কিন্তু এটা বলতেই হয়, অসম্মান অসম্মানকেই ডেকে আনে। হিংসার বদলে হিংসাই আসে। আর যখন কোনও ক্ষমতাবান ব্যক্তি তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যদের হেয় করেন তখন আমাদের সকলেরই হার হয়।”
“আসলে আমরা কারা? বলিউড কি? বলিউড হল কিছু লোকের সমষ্টি, যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে জড় হয়েছে। আমি জন্মসুত্রে দিল্লীর ছেলে, সেখানেই বড় হয়েছি। দীপিকা পাডুকোন, জন্ম ডেনমার্কে। আলিয়া ভাট ব্রিটিশ। ক্যাটরীনা লন্ডনে বড় হয়েছে। এদের জন্মের শংসাপত্র কোথায়? এদের বলিউড থেকে বের করে দিন, তখন আপনাদের ‘মিত্রাও’ মার্কা ভাষন আর অর্নব গোস্বামী ছাড়া কিছুই দেখতে পাবেন না।”