গাজার বিপর্যয় মোকাবিলা কাহিনী জানিয়েছে, শেষ পাঁচ দিনে প্যালেস্টাইনের ৭০ জন শিশুকে হত্যা করেছে ইজরায়েলি সেনা।
অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘ জানাচ্ছে প্রায়, ১০ থেকে ১২ লক্ষ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় পড়েছে গাজায়। যে সময় শিশু মন বিকশিত হয় সেই সময়ই ধ্বংসের ছবি রোজ দেখছে তারা। তার বন্ধু অথবা তার পরিবারের লোকেদের কয়েক ঘণ্টা পর দেখতে পাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছে। গোটা জনপদ ধ্বংসের পথে। অনেকগুলো প্রজন্ম ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে। যা আধুনিক পৃথিবীতে মানব সভ্যতার ইতিহাস এর কাছে লজ্জার বিষয়।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও বিশ্ব যেন নীরব! কেউ যেন ইসরাইলকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করতে পারছে না। বিবৃতি দেওয়া ছাড়া জাতিসংঘ যেন অসহায়! মুসলিম দুনিয়া যেন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছে আর ফিলিস্তিনী শিশু,মা বোনেরা দশকের পর দশক প্রাণ দিয়ে যাচ্ছে।
খবরে প্রকাশ, ইসলাইলের আগ্রাসনের মুখে অনেক শিশু হঠাৎ আগ্রাসী হয়ে পড়েছে আবার অনেকে প্রয়োজন হারানোর ক্ষতির ফলে কথা বলা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ইউনিসেফ এর তথ্য অনুযায়ী প্যালেস্তাইনে শেষ ১৫ মাসে অন্তত ১৯ হাজার শিশু অনাথ হয়েছে।
একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে যুদ্ধ করতে গেলেও কিছু বিধি মেনে চলতে হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, সেই সমস্ত বিধি মানছে না ইজরায়েল। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনী অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে এই হামলা অব্যাহত এবং দিন দিন ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা বেড়েই চলছে।
জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল গত ৮ জানুয়ারি বলেন, “নতুন বছর গাজার শিশুদের জন্য আরও বেশি মৃত্যু ও দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে।”