বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গেও আগের মতোই সুসম্পর্ক চায় ভারত, ঢাকায় দাঁড়িয়ে জানালেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী

Indian foreign secretary Vikram Misri speaks to the media after meeting his Bangladeshi counterpart at the Ministry of Foreign Affairs in Dhaka, Bangladesh

টিডিএন বাংলা ডেস্ক:

রাজনৈতিক কিছু নেতা ‘উল্টাপাল্টা’ মন্তব্য করলেও ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্ষায় দুই দেশের সরকার বেশ আগ্রহী। দুই দেশের স্বার্থেই এই সম্পর্ক জরুরি। বেশ কিছুদিন থেকে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আবহেই সোমবার সকালে ঢাকায় যান বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। অতিথিনিবাস পদ্মা ভবনে বাংলাদেশের বিদেশসচিব মহম্মদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন ভারতের বিদেশ সচিব।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিক্রম মিশ্রী বলেন, “আমাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমি জোর দিয়ে বলেছি যে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক চায়।”

তিনি বলেন, ভারত চায় দুই দেশের ইতিবাচক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক। অতীতেও আমাদের সেই সম্পর্ক ছিল, সেটি ভবিষ্যতেও আমরা অব্যাহত রাখতে চাই। এই সম্পর্ক জনগণকেন্দ্রিক। যা সবার জন্য কল্যাণকর।

ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “আমরা বিদ্যুৎ, শক্তি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া, কূটনৈতিক বোঝাপড়া-সহ একাধিক বিষয়ে কথা বলেছি।”

মিশ্রি বলেন, ‘পরস্পরের জন্য সহায়ক এই সহযোগিতা আমাদের উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে অব্যাহত থাকবে না, এটা ভাবার কারণ নেই। আমি আজ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য ভারতের আগ্রহের কথা তুলে ধরেছি। একই সময়ে, আমরা কিছু সাম্প্রতিক পরিস্থিত এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি।’

বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ‘আমি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের উদ্বেগগুলো জানিয়েছি। আমরা সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও কূটনৈতিক সম্পত্তির ওপর হামলার কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছি।’

এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে বলা হয়েছে সীমান্তহত্যা যেন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়। অন্যদিকে ভারত বলেছে, সীমান্তে নানা ধরনের অপরাধ হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব অপরাধের সংযোগ রয়েছে।

ওই দেশের পররাষ্ট্রসচিব জানান, ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে তিনি বৈঠকে সীমান্তহত্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সে সময় সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কাম্য নয় এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে ভারতকে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

Exit mobile version