নির্যাতিতকে তিন মাসের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। এই শর্তে ধর্ষকের মিলবে জামিন। সম্প্রতি এক ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিন দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তবে শর্ত একটাই— তিন মাসের মধ্যে বিয়ে করতে হবে নির্যাতিতাকে। বিচারপতি কৃষাণ পাহালের এই রায় নিয়ে ঘনিয়েছে বিতর্ক।
ধর্ষণে মামলায় শর্তসাপেক্ষে অভিযুক্তকে জামিন দিল এলাহাবাদা হাইকোর্ট। কী সেই শর্ত? ‘তিনমাসের মধ্যে নির্যাতিতাকে বিয়ে করতে হবে’! বিচারপতি কৃষ্ণণ পাহালের পর্যবেক্ষণ, ‘সংবিধানের ২১ ধারায় দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যক্তির জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না’।
জানা গেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ৯ লাখ টাকা প্রতারণা এবং অশ্লীল ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে রায় শোনার পরে ২৬ বছর বয়সি অভিযুক্ত নরেশ মীনা আদালতে দাবি করেন, তিনি ‘সৎ ও দায়িত্ববান ব্যক্তি’ এবং নির্যাতিতার দেখভাল করার জন্য তাঁকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
এর আগে, নরেশের জামিনে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আগ্রা আদালত। এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টে অভিযুক্তের দাবি, তিনি ‘সৎ ও দায়িত্ববান ব্যক্তি’ এবং নির্যাতিতার দেখভাল করার জন্য তাঁকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে প্রস্তুত। আদালত এই দাবি মেনে নেয়।
এদিকে এলাহাবাদের এই হাইকোর্টে এই রায়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। অনেকেই অভিযোগ, ধর্ষণে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতে এমন শর্ত নির্য়াতিতার অধিকার ও সম্মান ক্ষুন্ন করতে পারে। তবে আদালতের যুক্তি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার বা সাক্ষীদের ভয় দেখানোর মতো কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তাই তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য।