মরেছে ৪০ হিন্দু, আসামে নাগরিক পঞ্জি গরিব বাঙালির জন্য ভয়ঙ্কর, দাবি প্রেসক্লাবে

প্রেস ক্লাবের ছবি

40 Hindus died, civil war in Assam is terrible for poor Bengalis, press club claims

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা:

আসামে নাগরিক পঞ্জি দারিদ্র্য হিন্দু বাঙালির জন্য মারাত্মক। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে ৪০ হিন্দু মরেছে। আসাম ও কলকাতার একাধিক বিশিষ্ট ব্যাক্তি এমনটাই দাবি করলেন কলকাতা প্রেসক্লাবে।
শনিবার সন্ধ্যায় নাগরিক পঞ্জী নিয়ে প্রতিবাদী আলোচনা সভায় প্রেমতোষ দত্তচৌধুরীর লেখা ‘আমার দেশের মাটি’ বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়। বইটিতে এনআরসির ভয়ঙ্কর ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
এন আর সি যন্ত্রণার কথা উঠে আসে লেখকের বক্তব্যেও। ধর্ম ভুলে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন তিনি। বক্তব্য রাখেন আসামের বাঙালি আন্দোলনের অন্যতম মুখ বিশিষ্ট অধ্যাপক মানবাধিকার কর্মী অধ্যাপক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস
লেখক পার্থসারথী বসু বলেন,
নাগরিক পঞ্জী ঘিরে বঙ্গাল খেদার নতুন নক্সা এই বইটিতে উন্মোচিত।
লুধিয়ানার ভাষাযোদ্ধা মহেন্দ্র সিং শেখোঁ-শুধু বাঙালি নয়, ভারতের সব অহিন্দিভাষী জাতির একজোট হয়ে হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন।
এদিন বাংলা পক্ষ সংগঠনের সভাপতি গর্গ চ্যাটার্জি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও আসাম সরকার এক হয়ে বাঙালিদের তাড়ানোর চক্রান্ত করছে। বাঙালিদের ধরে এনে খাঁচায় বন্দি করতে ৬৫ কোটি টাকা খরচ করছে ডিটেনশন ক্যাম্প বানানোর জন্য। আজ পর্যন্ত ৫৬ জন বিভিন্ন ভাবে মারা গেছে তার মধ্যে ৪০ এর অধিক হিন্দু বাঙালি। এখন রাজনীতির জন্য মুসলিমদের কথা বলা যাচ্ছে না, মুসলিমদের দুঃখ কষ্ট নিয়ে বলা নাকি অপরাধ! তাই তারা কষ্ট পেলেও বলা যাবেনা! কিন্তু এত হিন্দুকে কেন দেশহীন করার চক্রান্ত করছে। যে বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলন করে দেশের জন্য সবচেয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছিল তাদের কেন বারবার দেশি না বিদেশি প্রমাণ দিতে হচ্ছে? যারা সেদিন ব্রিটিশের দালালি করেছিল তারা আজ বাঙালি বিরোধী। দিনের পর দিন আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি কমছে অথচ নাকি বাংলাদেশ থেকে রোজ লোক আসছে, তো বাংলাদেশ থেকে আসা লোকগুলো কি মারওয়াড়ি, গুজরাটি হয়ে যাচ্ছে? লোক এলেতো বাঙালি বাড়ার কথা,কমছে কেন? বিষয়টি বেশ রহস্য।
কেন হিন্দু বাঙালির নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ৬ বছর অপেক্ষা করতে হবে? কেন শরণার্থী করা হবে। হিন্দুদের নিঃশর্তভাবে এখনই নাগরিকত্ব দেওয়া হোক।’

১৫/০৭/২০১৯

Exit mobile version