মোকতার হোসেন মণ্ডল:
জামাআতে ইসলামী হিন্দ পশ্চিমবঙ্গের প্রথম যুগের সদস্য ইসহাক আলী আর নেই। শুক্রবার ১৪ জুন ভোর ১ টা ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বাড়ি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগানা জেলার ঢোলাহাট থানার দক্ষিণ বিরামপুর গ্রামে। এলাকার প্রবীণ সমাজ সেবী, শিক্ষা দরদী মুহাম্মদ ইসহাক আলী সাহেবের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
১৫ জুন, সকাল ১০ টায় নিজ গ্রামে তার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় বাস করলেও সারা জীবন তিনি সমাজ উন্নয়ন ও শিক্ষার বিস্তারে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। পেশায় তিনি ছিলেন দক্ষিণ বিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক। তিনি পারিবারিক উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন ‘সাদিক লাইব্রেরী’ নামে একটি সাধারণ পাঠাগার। ঢোলাহাটে অবস্থিত মিল্লাত গার্লস একাডেমী, গুলিস্তান ইসলামিক মডেল স্কুল, মাদারপাড়া হাই মাদ্রসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পিছনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। মরহুম ইসহাক আলী ছিলেন ঢোলাহাট বাজার সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সাপ্তাহিক মীযান, সাপ্তাহিক থেকে আজকের দৈনিক হয়ে ওঠা কলম, নতুন গতি ইত্যাদি পত্রিকার গুণগ্রাহী প্রচারক। ‘জনপ্রিয় সংগ্রহ’ নামে একটি বই এর দোকান তিনি গড়ে তোলেন। অর্থের অভাবে কারো পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে তিনি সব সময় চেষ্টা করতেন।
জামাআতে ইসলামী হিন্দের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি মুহাম্মদ নুরুদ্দীন বলেন, মরহুম ইসহাক আলী সাহেব ছিলেন জামাতে ইসলামী হিন্দের প্রাথমিক পর্যায়ের সদস্য। মরহুম মাওলানা ইয়াকুব ঘোলায়ী, জনাব ডাক্তার রয়ীস উদ্দীন, মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন মোল্লার মত ব্যক্তিত্বের পিছনে তাঁর বিপুল অবদান রয়েছে। জানা গেছে, জামাতের প্রাক্তন আমীর এ হালকা মুহাম্মদ নুরুদ্দীন তাঁর আপন ভাতিজা। তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। মরহুম ইসহাক সাহেব রিলিফের কাজে উত্তর বঙ্গ এমনকি আসামেও গিয়েছেন।
মৃত্যু কালে তিনি ৩পুত্র ও ৬ কন্যা রেখে গেছেন।