চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেইজিং ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশের উদ্বেগ এবং তাদের নীতি অবস্থানকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার সরকার অবশ্যই ‘ফিলিস্তিনিরা ফিলিস্তিন শাসন করবে’ এই নীতি মেনে চলতে হবে।” গ্লোবাল টাইমস-এর বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানায়, তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পরিস্থিতি ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে গিয়ে ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের সুযোগ করে দেবে।”
গাজার ব্যাপারে মুসলিম দেশগুলোর নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে মাও নিং বলেন, “চীন এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”
এদিকে, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, গাজার পুনর্গঠনের অজুহাতে সেখানে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে চীন। তিনি বলেন, “গাজা উপত্যকা থেকে যেকোনো জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরুদ্ধে বেইজিং কড়া অবস্থানে রয়েছে।”
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শুক্রবার চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে বলেন, “গাজা ফিলিস্তিনি জনগণের এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।” তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজার পরিস্থিতিকে জোরপূর্বক পরিবর্তন করার যেকোনো উদ্যোগ নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
ওয়াং ই আরও বলেন, “ফিলিস্তিন সমস্যা সবসময় পশ্চিম এশিয়ার মূল সমস্যা। ন্যায়বিচার, শান্তি এবং উন্নয়ন অর্জনে চীন পশ্চিম এশিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে।”