উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত রাজ্য অরুণাচল প্রদেশকে খ্রিস্টান রাজ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি উঠল।
ধর্মান্তরণ রোধ করার জন্য অরুণাচল এখন হাইকোর্টের নির্দেশে ১৯৭৮ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের বিধি তৈরির কাজ চলছে। এই আইন বিধিবদ্ধ রাজ্যে ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ করতে চলেছে।
ধর্মান্তরণ রোধ করার জন্য অরুণাচল এখন হাইকোর্টের নির্দেশে ১৯৭৮ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের বিধি তৈরির কাজ চলছে। এই আইন বিধিবদ্ধ রাজ্যে ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ করতে চলেছে।
এই আইন বাস্তবায়িত হলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উপর প্রভাব পড়বে। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে।
তাতে হাজার হাজার খ্রিস্টান অংশ নিচ্ছেন। এখন সেই আন্দোলন থেকে দাবি উঠল, অরুণাচল প্রদেশকে খ্রিস্টান রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশে ৩০.৩ শতাংশ খ্রিস্টান বসবাস করে। এ ছাড়া রয়েছেন ২৯ শতাংশ হিন্দু, অন্যান্য ২৬.২ শতাংশ, বৌদ্ধ ১১.৭ শতাংশ এবং মুসলিম ১.৯ শতাংশ।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোষ্ট করে লেখেন, “খ্রিস্টান ফোরাম নামে এক সংস্থা অরুণাচল প্রদেশকে স্বাধীন ক্রিশ্চান রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। ভারতবর্ষের যেখানে যেখানে হিন্দু সংখ্যালঘু হয়েছে সেখানেই বিতাড়িত হয়েছে এবং দেশ বিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ কাশ্মীর, মণিপুরের কথা বলা যায়। হাজার হাজার লোককে যীশুর শপথ বাক্য পাঠ করানো হল। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি এটি হুমকিও বটে। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী , দেশ বিরোধী শক্তিদের ভারত সরকার বিনাশ করবেই।”