দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো কয়েক লক্ষ টাকা, যা ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। ঘটনার সূত্রপাত হয় তার বাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগার পর। আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল কর্মীরা বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করেন। ওই সময় বিচারপতি ভর্মা বাড়িতে ছিলেন না।
দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণ ভরদ্বাজ বলেছেন, বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অভিযুক্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ মোকাবিলার জন্য একটি নির্দেশিকা প্রণয়ন করে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রধান বিচারপতি প্রথমে তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইবেন। যদি উত্তর সন্তোষজনক না হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক ও দুইজন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে অভিযোগ গুরুতর মনে হলে অভিযুক্ত বিচারককে পদত্যাগ করতে বলা হবে। তিনি যদি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন, তাহলে সংবিধানের ১২৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার অপসারণের জন্য সংসদীয় প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিচারপতি ভর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ বিচার বিভাগের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। ফলে দ্রুত তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।