মোদি সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল-এর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের নেতৃত্বে বৃহত্তর গণআন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার বোর্ডের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর রবিবার, নব নিযুক্ত বোর্ড সদস্য মাওলানা মোঃ কামরুজ্জামান সাহেবের আহ্বানে কলকাতায় এক জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যের বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে বাংলা ফুরফুরা শরীফের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর সাদাব মাসুম, অল ইন্ডিয়া সুন্নাত অল জামাতের মুফতি আব্দুল মাতিন সাহেব, অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাওলানা বাকি বিল্লাহ, জমিয়াতুল আইম্মা অল ওলামার হাফেজ সিদ্দিকুল্লাহ, ঐকতান পরিষদের মাওলানা আমিনুল আন্বিয়া, ইমাম সংগঠনের মিজানুর রহমান ও হাফেজ জাভেদ আলি, এবং অল ইন্ডিয়া তৌহিদী জনতার মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী ৯ এপ্রিল, দুপুর ২টায়, কলকাতার একাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ রাজ্যের সমস্ত প্রথম সারির মুসলিম সংগঠন, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, দলিত ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমাজকর্মী এবং সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এক বৃহত্তর সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে সংগঠিত গণআন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।
সভা থেকে জানানো হয়, এই আন্দোলন হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। কোনোভাবেই রাস্তা বা রেল অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে মোটরসাইকেল র্যালি না করারও সুপারিশ করা হয়েছে।
আগামী দিনে ব্রিগেড সমাবেশ করার পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়। এছাড়া প্রতিটি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জেলাশাসক ও মহাকুমা শাসকের দপ্তরে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
মাওলানা কামরুজ্জামান জানান,
“প্রথম পর্যায়ে সকল সংগঠন ও দায়িত্বশীলদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে রামনবমীর কারণে অনেকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। ৯ এপ্রিলের বৈঠকে আবার সবাইকে নিয়ে বসা হবে। আশা করি, এ রাজ্যে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের নেতৃত্বে এক ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে উঠবে, যা ভবিষ্যতে ব্রিগেড পর্যন্ত পৌঁছাবে।”