মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে কাতারে অবস্থিত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে রাতের অন্ধকারে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর জানায়, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়াতেই এই আক্রমণ চালানো হয়েছে।
তবে কাতার বলছে, আকাশেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইরানের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হামলার জবাবে আমরা কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেব না।”
ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, এই হামলা কাতার বা এর জনগণের বিরুদ্ধে নয়, বরং কৌশলগতভাবে আবাসিক এলাকা থেকে দূরের মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছে।
হামলার সময় দোহার আকাশে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটেন। এক বাসিন্দা বলেন, “হঠাৎ বিস্ফোরণে আমার শিশুরা ভয় পেয়ে কাঁদতে থাকে। তখন কী করব, কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি।”
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “এই হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা এবং জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন।”
অন্যদিকে বাহরাইনেও গত রাতে সাইরেন বাজানো হয় এবং নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সিরিয়ার কাসরাক মার্কিন ঘাঁটিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা, কুয়েত, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের মহাসচিব বলেছেন, কাতারের ভূখণ্ডে ইরানের এই হামলা শুধু কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন নয়, বরং পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
