ওয়াকফ সংশোধনী প্রস্তাবিত বিল বাতিলের দাবিতে কলকাতায় একাধিক বড় সমাবেশ করবে বিভিন্ন সংগঠন। রাজ্যের মুসলিম সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ বিল আনার চেষ্টা করলে দেশজুড়ে যেমন প্রতিবাদ হবে তেমনি বাংলাতেও অন্দোলন হবে।
জানা গেছে, নভেম্বরে ব্যাঙ্গালোরে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ অধিবেশন আছে। সেই অধিবেশনে আগামী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচিত হবেন। এরপর ওয়াকফ সহ মিল্লাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। নতুন টিম তৈরির পর ওয়াকফ নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বড় বড় সমাবেশ, মিছিল করতে পারে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। তবে ইতিমধ্যেই ওয়াকফ নিয়ে সচেতনতা শিবির করছে মুসলিম সংগঠনগুলো।
এদিকে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ বাতিলের দাবিতে কলকাতার রামলীলা ময়দানে ৯ নভেম্বর সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ। সেই সভায় বক্তব্য দেওয়ার কথা আমীর এ জামায়াত সাইয়েদ সাদাতুল্লাহ হোসাইনী।
অন্যদিকে আগামী ৩১ অক্টোবর বেলা ১১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত কলকাতার পার্কসার্কাস চার নম্বর ব্রীজ সংলগ্ন আব্দুল হামিদ মসজিদে ওয়াকফ বিল বিষয়ক সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ শিবির করবে জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়াকফ প্রোটেকশন। সভায় রাজ্যের প্রায় সমস্ত সংগঠনের প্রতিনিধিদের ও স্বেচ্ছাসেবীদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে।
জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়াকফ প্রোটেকশন বলছে, “কেন্দ্রীয় সরকার নয়া ওয়াকফ বিল নামে যে কালা কানুন তৈরি করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এই বিল আইনে পরিণত হলে দেশের মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান সহ সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তি সরকার নিজেই অবৈধভাবে দখল করতে পারবে।”
তবে আগে ভাগে রাজপথে না নেমে কেন্দ্রীয় সরকার, জেপিসি কী করছে সেদিকে নজর রাখছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, “আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যে জেপিসিকে সংগঠনের স্ট্যান্ড জানিয়ে দিয়েছে। সরকার যেন এই বিল পাশ করা থেকে বিরত থাকে সেই আবেদন করা হয়েছে। এরপরেও যদি কেন্দ্রীয় সরকার জোর পূর্বক এই বিল পাস করে তবে সর্ব শক্তি দিয়ে অন্দোলন করার ঘোষণা দেবে জমিয়ত।”
জমিয়তের রাজ্য সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ওয়াকফ বিল মানবেন না। ফুরফুরার বিভিন্ন সংগঠনও ওয়াকফ বিল পাশ না করানোর দাবী জানিয়েছেন।
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিভিন্ন সংগঠন সূত্রে খবর, গোটা দেশের মুসলিমরা ওয়াকফ বিল নিয়ে সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার যদি বৃহত্তর মুসলিম নেতৃত্বের কথা না মেনে বিল পাশ করে তবে সারা দেশে অন্দোলন হতে পারে।