টিডিএন বাংলা ডেস্ক: প্রথম দফায় ১০৪ জন, গত শনিবার দ্বিতীয় দফায় ১১৬ জন এবং রবিবার তৃতীয় দফায় ১১২ জন অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। এই সকল নাগরিক পাঞ্জাব, হরিয়ানা ছাড়াও গুজরাত, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে যারা আমেরিকা থেকে ফিরেছেন তাঁদের অনেকেই দাবি করেছেন, কীভাবে তাঁদের ‘অত্যাচার’ করা হয়েছে সে দেশের ডিটেনশন ক্যাম্পে। এমনই আরও এক ঘটনার উল্লেখ করলেন জতিন্দর সিং নামের এক ২৩ বছরের তরুণ।
রবিবার যে ১১২ জন ভারতীয় দেশে ফিরেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন জতিন্দর। অবৈধভাবে আমেরিকা পৌঁছনোর পরই তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে প্রায় ২ সপ্তাহ ছিলেন। দেশে ফিরে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জতিন্দর। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ক্যাম্পে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে কী কী হয়েছিল।
জতিন্দরের দাবি, ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পরই তাঁর পাগড়ি জোর করে খুলে নেয় মার্কিন সেনা। বারবার বলা সত্ত্বেও তা ফেরত দেওয়া দূর, ডাস্টবিনে ফেলে দেয় তাঁরা! এরপর বেশ কয়েকদিন তাঁকে ঠিক মতো খেতে দেওয়া হয়নি, মারধরও করা হয়েছে। যুবক এও জানিয়েছেন, প্রচণ্ড খিদের মধ্যে তাঁকে শুধু একটি চিপসের প্যাকেট এবং জুস দেওয়া হত। আর কোনও খাবার পেতেন না তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেশন ক্যাম্পে নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরলেন ভারতীয় অভিবাসী যতীন্দার সিং। তিনি জানিয়েছেন ডিটেশন ক্যাম্পে তাদের ওপর মানসিক এবং শারিরীক ভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে। তার কথায় তার পাগড়ি ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় তাকে। ঠিক ভাবে খেতেও দেওয়া হয়নি। রবিবার যেই ১১২ জন ভারতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফিরেছেন তাদের মধ্যে তিনি একজন।
ওই যুবক জানিয়েছেন ২৭ নভেম্বর সীমানা পার করে যখন সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন তখন তাঁকে সেখানকার সেনা আটক করে। নিয়ে যাওয়া হয় ডিটেনশন ক্যাম্পে। সেখানেই তাঁকে রাখা হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন ৩৬ ঘন্টা বিমান যাত্রায় তাঁদের হাতে পায়ে শিকল পড়ানো ছিল।
যতীন্দার জানিয়েছেন, ‘‘ক্যাম্পে সারাদিনে দুবার চিপ্স এবং ফ্রুটি দেওয়া হতো খাওয়ার জন্য।’’ তিনি জানিয়েছেন একজন এজেন্টের মাধ্যমে তিনি আমেরিকায় যান কাজের জন্য। ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হয় ওই এজেন্টকে। পরিবার সেই টাকা জোগাড় করার জন্য তাদের জমি বিক্রি করে দেয়।
অবৈধভাবে আমেরিকা যাওয়া সকল ভারতীয়ই জানিয়েছেন তাঁরা এজেন্টকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। জতিন্দরও তার ব্যতিক্রম নন। তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে আমেরিকা গেছিলেন বলে জানিয়েছেন। পানামার জঙ্গলে রাত কাটাতে হয়েছে তাঁকে, তারপর মেক্সিকো বর্ডার পার করে আমেরিকা প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তবে সীমান্তেই তিনি ধরা পড়েন। এর আগে দু’দফায় দেশে ফেরানো অবৈধ ভারতীয়দের পায়ে-কোমরে চেন বেঁধে তোলা হয়েছিল বিমানে। এবারও সেই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জতিন্দর।
অনেক আমেরিকা-ফেরত ভারতীয়রা বলেছেন, তাঁদের বাক্সের মতো বিমানে ধাক্কা মেরে ঢোকানো হয়েছে। এইসব নিয়ে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া, মার্কিন প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এমন অভিযোগ এলে তাঁরা উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ জানাবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেয়নি নয়াদিল্লি।
গাজা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ: মুসলিম দেশগুলোকে সমর্থন চীনের
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেইজিং ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব ও অন্যান্য মুসলিম দেশের উদ্বেগ এবং তাদের নীতি অবস্থানকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন...