তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু “মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।”
মঙ্গলবার কাতারের আমিরের সঙ্গে এক টেলিফোনে আলাপে এরদোয়ান বলেন, তিনি সহিংসতার এই চক্র বন্ধ করতে নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন এবং নেতানিয়াহু আবারও প্রমাণ করেছেন যে, তিনি এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
এদিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইরানের প্রতি আবারও সমর্থন জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের ওপর সামরিক হামলা চালায়, তা হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে,
“ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি পুরো অঞ্চলকে বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে।”
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে কাতার। রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পক্ষে থেকে এ নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি। পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে সহিংসতার পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ইরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত করার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার মহানগরীর আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।
স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা এখন ইরানের আকাশসীমা পূর্ণাঙ্গ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।’
আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি কোথায় খামেনি লুকিয়ে রয়েছেন তা শনাক্ত করার দাবি করেছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদে আছেন- আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।
পোস্টে তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমরা চাই না ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর হামলা হোক। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।’
অন্য একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ!’ এটি তার আগের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি, যেখানে তিনি ইরানের কাছে ‘পূর্ণ আত্মসমর্পণ’ দাবি করেছিলেন। তবে এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্প আরো দাবি করেন, ইরানের আকাশে আমরা এখন পূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছি। মার্কিন বাহিনী এই সঙ্ঘাতে সরাসরি জড়িত থাকার কথা ঘোষণা করেনি। ফলে তিনি তার বিবৃতিতে ‘আমরা’ বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘ইরানের ভালো মানের স্কাই ট্র্যাকার ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ছিল এবং তা ছিল প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু সেগুলো আমেরিকায় তৈরি, পরিকল্পিত ও প্রস্তুতকৃত সরঞ্জামের সাথে তুলনাই চলে না। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এটা কেউই ভালোভাবে করতে পারে না।’ সূত্র : আল জাজিরা