‘কার্যত ভিক্ষা চাইছিলেন ট্রাম্প, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তিনিই দেন’, দাবী ইরানের

১২ দিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতির পিছনে কাদের ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে পাল্টাপাল্টি দাবি উঠে এসেছে দুই পক্ষের তরফে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরান ও ইজরায়েল প্রায় একই সময়ে তাঁর কাছে শান্তি চেয়ে আসে। তিনি বলেন, “আমি জানতাম সময় এসে গেছে। গোটা বিশ্ব—বিশেষত পশ্চিম এশিয়া—এই শান্তির মাধ্যমে প্রকৃত বিজয় লাভ করেছে। ইরান ও ইজরায়েলের জন্য সামনে অপেক্ষা করছে ভালোবাসা, শান্তি ও সমৃদ্ধির এক নতুন দিগন্ত। তবে সত্য ও ধর্ম থেকে বিচ্যুত হলে অনেক কিছু হারাতেও হতে পারে।”

কিন্তু ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেছে ইরানের সরকারি টেলিভিশন। তাদের দাবি, যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ ইরানের হাতেই ছিল এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কার্যত ভিক্ষার ভঙ্গিতে যুদ্ধ থামানোর অনুরোধ জানান।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়েছে, “কাতারে অবস্থিত আমেরিকার আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের আঘাত হানার এক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। তাঁর এই প্রস্তাব ছিল এমন, যেন তিনি কার্যত যুদ্ধ থামানোর জন্য করুণ অনুরোধ করছেন।”

ইরানের দাবি অনুযায়ী, আমেরিকার আগ্রাসনের জবাবে তাদের কঠোর প্রতিক্রিয়াই শত্রুপক্ষকে শান্তির পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে। এই বিবৃতিতে ইরান পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, কূটনৈতিক ভাষার আড়ালে হলেও বাস্তব পরিস্থিতিতে শান্তির হাত বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Exit mobile version