ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডঃ এস মুরলীধর সম্প্রতি দেশজুড়ে ধর্মান্তর বিরোধী আইনগুলোকে ‘পছন্দ-বিরোধী’ আইন বলে অভিহিত করেছেন। ২৮শে ফেব্রুয়ারি ধর্মান্তর বিরোধী আইনের উপর একাডেমিক ইতিহাসের এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এই আইনকে অন্তর্নিহিত দুটি ধারণা – মুরলীধরের উল্লিখিত মতে তা হল, প্রচারের ভাষা ধর্মান্তরিত ব্যক্তির উপর নয় বরং অভিপ্রেত ব্যক্তির উপর ন্যস্ত। তিনি বলেন, যদিও ধর্মান্তর বিরোধী আইনগুলো জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে আইন, বরং এগুলি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে।
এই সমস্ত আইনের ধারণা হল যে, যদি কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের সম্প্রদায় বা সরকারপক্ষীয় কোনও ব্যক্তি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে এই সিদ্ধান্তটি অবশ্যই কোনও ধরনের হস্তক্ষেপের কারণে হয়েছে। তাই স্পষ্টতই আইনটি কোনও বিশেষ লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে।
মুরলীধর ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই আইন দ্বারা সৃষ্ট পদক্ষেপগুলি শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে এবং অপমানজনক শিকার করে। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি যদি বৌদ্ধ বা প্রোটেস্ট্যান্ট হন, তাহলে তাদের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শোনো! আমি একটি নির্দিষ্ট ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে প্রতিরোধ করে এই আইন বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।