কম্পনে ঘুম ভাঙল রাজধানীর মানুষের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৫টা ৩৬ মিনিট! কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গা।
আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন বহু মানুষ। দিল্লির স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, গত ২৫ বছরে রাজধানীতে এই ধরনের কম্পন হয়নি।
জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। সোমবার সকালে ভূমিকম্পের পর সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের আফ্‌টারশক হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’’
ভূমিকম্পের উৎসস্থল
ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। সেখানে দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অফ স্পেশ্যাল এডুকেশনের জমির ঠিক নীচে ভূমিকম্প হয়েছে। মাটি থেকে তার গভীরতা খুব বেশি নয়, মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজধানীর এই অংশটি বরাবর ভূমিকম্পপ্রবণ। কাছাকাছি একটি লেক রয়েছে। প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর অন্তর এই লেকের ধারে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে। তবে শেষ বার এই অংশে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।
কেন এত ভূমিকম্প দিল্লিতে
মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন অনুভূত হয়, তবে কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভূমি থেকে কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা খুব বেশি নয় বলেই তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে, মত বিশেষজ্ঞদের। বহু মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এর আগেও একাধিকবার ভূমিকম্পে কেঁপেছে দিল্লি। সিসমিক জোন-৪ এ অবস্থিত হওয়ায়, মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা থাকে দিল্লিতে। এদিনের ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার ছিল। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চিনের শিনজিয়াংয়ে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়। তার আগে ১১ জানুয়ারিও আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়েছিল।
এভাবে বারবার ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষজন।

Exit mobile version