টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কিছুদিন আগের ঘটনা। নেপালি ছাত্রদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ওড়িশার ভুবনেশ্বরের ‘কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি’ (কেআইআইটি)। কারণ সেখানে ২০ বছরের তরুণী প্রকৃতি লামসালের ঝুলন্ত দেহ কেআইআইটি-র হোস্টেল ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল। তারপরই সমস্ত নেপালি পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পড়ুয়াদের অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ জোর করে বার করে দিয়েছিল তাঁদের। যদিও পরবর্তীতে কলেজ থেকে একটি নোটিশ বার করা হয় সেখানে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করা হয়।
সেই ঘটনার একমাসও হয়নি। ফের কেরালায় খুন হল মিজোরামের ২৩ বছর বয়সী এক পড়ুয়া। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের সহপাঠীরাই কোপাতে কোপাতে খুন করে তাঁকে। মৃত ওই পড়ুয়ার নাম ভি এল ভ্যালেন্টাইন। চতুর্থ বছরের প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। তাঁর সহপাঠী লামসাং নামক এক পড়ুয়াকেও এই ঘটনায় পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল ওডিশার কেআইআইটি। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয় প্রকৃতি লামসালের ঝুলন্ত দেহ। এর জেরেই নেপালি পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি’ (কেআইআইটি)। কারণ সেখানে ২০ বছরের তরুণীর ঝুলন্ত দেহ কেআইআইটি-র হোস্টেল ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল। পড়ুয়াদের অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ জোর করে বার করে দিয়েছিল তাঁদের।
সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই কেরালায় খুন করা হয়েছে মিজোরামের ২৩ বছর বয়সী এক পড়ুয়াকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তিরুবন্তপুরমের নাগারুরের ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ভ্যালেন্টাইন। তাঁর সহপাঠী লামসাং তাঁকে কুপিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওই খুনের ঘটনা ঘটে সেখানকার বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে বসে মদ্যপান করছিল পড়ুয়াদের একটি দল। তখনই তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময়েই ভ্যালেন্টাইনকে কোপাতে শুরু করে কয়েকজন পড়ুয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কেআইএমএস হাসপাতালে। রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ এখন তদন্ত করছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করছে পুলিশ।