টিডিএন বাংলা ডেস্ক: শনিবার হরিয়ানার রোহতাক জেলায় বাস স্ট্যান্ডের কাছ থেকে উদ্ধার হয় কংগ্রেস মহিলাকর্মীর স্যুটকেসবন্দি দেহ। জানা যায়, নিহত মহিলা ২২ বছরের হিমানী নারওয়াল। হিমানীর মৃতদেহ উদ্ধারের পরই পুলিস একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করেছে। ইতোমধ্যে পুলিসের চারটি দল অপরাধীদের খুঁজছে। শোনা যাচ্ছে একজন গ্রেফতার হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, হিমানীর ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে, হিমানীর পরিবার তার খুনিদের সবাই গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ দাহ করবে না বলে জানিয়েছেন।
হরিয়ানা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের জেরে চরম ব্যস্ততা পুলিশ মহলে ৷ এর মাঝেই প্রশাসন কংগ্রেস নেত্রী খুনের তদন্তের জন্য তড়িঘড়ি করে একটি দল গঠন করেছে। প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক চাপও তীব্র হতে শুরু করেছিল ৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র হুডাও এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করতে রোহতকের পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন ৷ পাশাপাশি, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও করেন তিনি। ফলে পুলিশ-প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের পরেও হিমানির পরিবার মেয়ের দেহ নিতে অস্বীকার করে ৷ তাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র কংগ্রেস দলের লোকেরাই এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
হত্যার রহস্য উদঘাটনে পাঁচটি আলাদা টিম গঠন করেছে পুলিশ। তদন্তের অংশ হিসাবে, হিমানির বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া, সাইবার সুরক্ষা দল হিমানির সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে। স্যুটকেসে হিমানির মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে কোনও সিসিটিভি না থাকায় এই খুনের তদন্তে সমস্যার মুখে পড়েছে পুলিশ।
হিমানি নারওয়াল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দলের প্রতিটি বড় কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত থাকতেন। রাহুল গান্ধির সঙ্গে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিধায়ক বিবি বাত্রা তাঁর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৷ তাঁর দাবি, হিমানি কংগ্রেসের একজন পরিশ্রমী কর্মী ছিলেন। তিনি এই মামলায় সিট গঠনের দাবিও করেছিলেন ৷ একই সঙ্গে, তদন্ত করার কথাও বলেছিলেন।
হিমানীর মা সবিতা জানিয়েছে, দলের কিছু নেতারা তাঁর মেয়ের ছোট বয়সে রাজনৈতিক উত্থানে হিংসা করত। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তের মধ্যে দলেরই কেউ হতে পারে, কারণ কেউ কেউ তাঁর রাজনৈতিক উত্থান সহ্য করতে পারছিল না।’ হরিয়ানার মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অনিল ভিজ সবিতার মন্তব্যের পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেন, ‘হিমানীর মায়ের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর।’ অনিল ভিজ আরও বলেন, ‘এগিয়ে যাওয়া, অন্যদের পিছনে ঠেলে দেওয়া, এটাই কংগ্রেসের পুরনো সংস্কৃতি।’
হোলিতে শান্তি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে কেন্দ্রকে, দাবি সিপিআইএম পলিট ব্যুরোর
কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে শান্তির সঙ্গে হোলি পালনের আবেদন জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি নেতাদের ধারাবাহিক উসকানির...