টিডিএন বাংলা ডেস্ক: হাতে আর মেরে কেটে বছর খানেক। তাই কোনও রকম কালক্ষেপ না করে আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল। ২০২৬–এর বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে কেরালায় প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল। এ যাত্রায় আসরে ডেরেক ও মহুয়া। নজর ভোটবাক্সের দিকে। এলডিএফের প্রাক্তন বিধায়ক পিভি আনওয়ারকে দক্ষিণের ওই রাজ্যে তৃণমূলের আহ্বায়ক করা হয়েছে। মালাবার উপকূলে জোড়াফুল ফোটানোর উদ্যোগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে শনিবার মালাপ্পুরমে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লিগের শীর্ষ নেতা সৈয়দ সাদিক আলি সাহিব থঙ্গলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
উপস্থিত ছিলেন আনওয়ারও। এই দুই নেতৃত্বের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে কিছু বলেননি তৃণমূলের দুই সাংসদ। তবে কেরালা তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহুয়া মৈত্র সৈয়দ সাদিক সাহিব থঙ্গলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এই পরিবারের অবদানের কথা তুলে ধরেছেন তাঁরা। কেরালায় উন্নয়নের সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেখানে। রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরার বিষয়েও কথা হয়েছে।’
এই সাক্ষাতের পরে সৈয়দ সাদিক আলি সাহিব সংবাদমাধ্যমে বলেন, তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়নি। সেই সঙ্গেই অবশ্য তাঁর মন্তব্য, ‘তৃণমূল ইন্ডিয়া ব্লকের অংশ। যে নির্বাচনগুলি আসছে তার আগে এই জোটকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমরা এই বিষয়ে ইউডিএফে আলোচনা করব, তার পর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।’
একইসঙ্গে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রথম সারির এক জনের সঙ্গেও ডেরেক এবং মহুয়া সাক্ষাৎ করেছেন। কোঝিকোড়ের থামারেসারি বিশপ হাউসে এই সাক্ষাৎ হয়। রবিবার মালাপ্পুরমের মানজেরি শহরে তৃণমূলের প্রথম বড় সাংগঠনিক সভাও হতে চলেছে।
এই সভার প্রধান দুই বক্তাও ডেরেক এবং মহুয়া। পিভি আনওয়ার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় ওই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আসন্ন। যদিও প্রাক্তন এই এলডিএফ নেতা ভোটে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন। উপনির্বাচনে ইউডিএফ প্রার্থীকে সমর্থনের কথা বলেছেন আনওয়ার।
কেরলের মুসলিম লিগ ও চার্চ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক ডেরেক ও মহুয়ার
