ভারতের অন্যতম ধনকুবের ও শিল্পপতি গৌতম আদানি তাঁর স্ত্রী প্রীতি আদানি-কে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি রাজস্থানের আজমির শরীফ দরগাহ পরিদর্শন করেন। দরগায় চাদর চড়িয়ে তিনি পরিবারের মঙ্গল ও দেশের শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন। পরিদর্শনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি কিছু ছবি শেয়ার করলে সেটা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
আজমির শরীফ দরগাহ পরিদর্শনের পর গৌতম আদানি বলেন, “আজমির শরীফের মতো পবিত্র স্থানে এসে আমি অপার শান্তি এবং ইতিবাচক শক্তি অনুভব করছি। আধ্যাত্মিকতা আমাদের সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করে। আমি চাই, প্রতিটি মানুষের জন্য খাদ্য, শিক্ষা এবং বাসস্থানের নিশ্চয়তা থাকুক।”
দরগাহর খাদিমরা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে ‘গ্লোবাল পিস অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে সম্মানিত করেন।
সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
আদানির আজমির শরীফ দর্শন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই আদানির এই সফরকে সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমাদের হিন্দু ধর্ম অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেখায়। যারা আজমির শরীফ দরগাহ ভাঙার কথা বলেছিলেন, তারা নিজেদের ধর্মকেই সঠিকভাবে বোঝেন না।”
আরেকজন লিখেছেন, “এটি এক পবিত্র স্থান, যেখানে সমস্ত শক্তি নত হয়।”
তবে এই সফর নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। অনেকেই আদানির ধর্মীয় বিশ্বাস ও তাঁর প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
একজন লিখেছেন, “লজ্জাজনক! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আপনাকে সীমান্ত এলাকায় জমি দিয়েছেন, এর কারণ এখন পরিষ্কার।”
অন্য একজন কটাক্ষ করে লিখেছেন, “কী এমন বাধ্যবাধকতা ছিল যে আপনাকে এখানে আসতে হলো?”
কেউ কেউ আদানির ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন? আপনি কি সনাতনে বিশ্বাস হারিয়েছেন? নাকি সঙ্গমে স্নান করা শুধুই লোক দেখানো ছিল?”
অনেকে এটিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখছেন।
একজন মন্তব্য করেছেন, “কল্পনা করুন, যদি রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজমির শরীফ যেতেন! তাহলে ‘ভক্ত’রা তাদের কটাক্ষ করত, আর বিজেপি মুসলিম তোষণের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করত।”