এক কথায় হতবাক গবেষকরাও। বিচিত্র প্রজাতির এই কৃমি। বিশাল লম্বা। সাধারণ কৃমির মতো নয়। এই কৃমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে চোখ রাখুন নিচের নিবন্ধে।
ওডিশার কেওনঝড় চমকে দিল জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রাণিবিজ্ঞানীদের। কেওনঝড়েই তিন প্রাণিবিজ্ঞানীর একটি দল খোঁজ পেলেন গোলকৃমির নতুন এক প্রজাতির। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মাটিতে বসবাসকারী এই প্রাণী মাটির স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
নতুন এই আবিষ্কারের কথা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে প্রাণিবিজ্ঞানের অনলাইন বিজ্ঞানপত্রিকা ‘অ্যাক্টা জুলজিকা বুলগেরিকা’–তে। ছাপার অক্ষরে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই কৃতিত্বের কথা বেরোবে মার্চেই, পত্রিকাটির মুদ্রিত সংস্করণে।
ভারতের পশ্চিম উপকূল এবং ওই উপকূল ধরে দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ এলাকা বরাবর বিস্তৃত পশ্চিমঘাট পর্বতমালা জীববৈচিত্র্যের ‘হটস্পট’ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বর্তমান ডিরেক্টর ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে দেশের কেবল পশ্চিম উপকূল নয়, একই সঙ্গে পূর্ব উপকূল এবং তার সংলগ্ন এলাকাও যথেষ্ট সম্ভাবনাময়।
ওডিশার কেওনঝড় থেকে জেডএসআই–এর তিন গবেষক দেবব্রত সেন, জিপি মণ্ডল এবং সম্প্রতি দেবরায়ের মিলিত প্রয়াসে গোলকৃমির নয়া প্রজাতির হদিশ পাওয়া প্রমাণ করল সংস্থার অধিকর্তার বক্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন সন্ধান পাওয়া এই প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয়েছে সংস্থার অধিকর্তার নামেই— ‘ক্র্যাসোলেবিয়াম ধৃতি’।
ওই তিন প্রাণিবিজ্ঞানীকে জেডএসআই–এর ডিরেক্টর অভিনন্দন জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এ ধরনের প্রাণীরা আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র বলেই এদের উপর সাধারণত নজর পড়ে না। কিন্তু পরিবেশে এদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে, মাটিতে বসবাস করার কারণে নানা ধরনের পচনশীল দ্রব্য খেয়ে এবং বায়ু চলাচলে সাহায্য করার মাধ্যমে তারা মাটির স্বাস্থ্যরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা নেয়।’
জেডএসআই জানিয়েছে, আগামী দিনে এই ধরনের ‘ফিল্ড ওয়ার্ক’–এ বিশেষ জোর দেওয়া হবে। প্রাণিবিজ্ঞানের দুনিয়ায় এমন অবাক করা আবিষ্কার আরও হবে বলে আশা করা যায়।