সম্প্রতি বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হাওড়ার ইদারা মাহফিল-ই-খুশরঙ্গ। টিকিয়াপাড়ার কল্পনা চাওলা সভাগৃহে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করা ইদারা মাহফিল-ই-খুশরঙ্গ সংস্থার এই অনুষ্ঠানে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন ও কর্ম নিয়ে মনোজ্ঞ এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন দিল্লির মুহাম্মদ ফিরোজ মুজাফফর।
সংস্থার পক্ষ থেকে আহমেদ সাঈদ মালিহাবাদী অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় প্রাক্তন সাংসদ ও পুবের কলম সংবাদপত্রের সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরানকে। ‘আহমেদ সাঈদ মালিহাবাদী’ ছিলেন বাংলা তথা ভারতের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক। তিনি এক সময়ের বিখ্যাত ‘দৈনিক আজাদ হিন্দু পত্রিকা দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ করেছেন। যা সারা ভারতে বিখ্যাত ছিল। কিন্তু অন্য একটি অনুষ্ঠান শেষ করে ট্রাফিক জ্যামে আটকে যাওয়ায় আহমদ হাসান ইমরান ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন সেক্রেটারি মুহাম্মদ আফজাল খান। সঙ্গে ছিলেন উর্দু দূরদর্শনের সাংবাদিক মকদুম আরশাদ হাবীবী।
রবিবারের এই অনুষ্ঠানে হোলি চাইল্ড বাংলা মিডিয়ামের পড়ুয়াদের রাষ্ট্রীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কথাশিল্পী শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করেন-বিশিষ্ট লেখক হালিম সাবির, ড. আকিল আহমেদ, হাফিজুর রহমান। কলকাতা দূরদর্শনের উর্দু নিউজের সংবাদ পাঠিকা শেহনাজ সুলতানা। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জায়েত আলোয়ার মুহাম্মদ, রাজেন্দ্র সাহু, সিজার রায়, ড. সিজার আহমেদ, খাজা এহেমদ হুসেন, ডা. দানিস জাফর, ইজাহার আলম, ইন্তেয়াজ আহমেদ-সহ অনান্যরা।
স্মারক গ্রহণ করে আহমদ হাসান ইমরান ইদারা মাহফিল-ই-খুশরঙ্গ-কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আহমেদ সাঈদ মালিহাবাদী’ উর্দু সাংবাদিকতার একজন দিকপাল ছিলেন। তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কারটি গ্রহণ করে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। সংস্থার প্রেসিডেন্ট হালিম সাবির এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ আফজল খানকে ইমরান শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন, আমাদের বাংলা, উর্দু তাহজীব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।