টিডিএন বাংলা:
স্বামীকে ঘরের বাইরে রেখে ‘দীক্ষা’ দেওয়ার নামে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো বীরভূমে। গত বুধবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় গ্রেফতার ৪৮ বছরের ‘গুরুদেব’ উজ্জ্বল দাস।
বীরভূমের দুবরাজপুর থানার যশপুর পঞ্চায়েতের একটি গ্রামেই নিজের বাড়িতে ‘দীক্ষা’দানের আহ্বান জানানো হয়েছিল অভিযুক্ত উজ্জ্বল দাসের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, নিগৃহিতা মহিলা তাঁর স্বামীকে নিয়ে ওই ‘গুরুদেবের’ কাছে দীক্ষা নিতে যান। প্রথমে স্বামীকে দীক্ষা দেওয়ার পর স্ত্রীকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন অভিযুক্ত। এরপরই মহিলাকে দীক্ষাদানের সময় নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে শারিরীক সন্মানহানি করেন উজ্জ্বল দাস বলেই অভিযোগ। ওই সময় ঘর বন্ধ ছিল। আর ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন নির্যাতিতার স্বামী।
বাড়ি ফিরে এসে মহিলা তার স্বামীকে সব ঘটনা খুলে বলেন। এরপরই মহিলা ও তাঁর স্বামী বৃহস্পতিবার দুপুরে এসে দুবরাজপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ।
অভিযুক্ত উজ্জ্বল দাস পুলিশের গাড়িতে বসে নিজের দোষের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি ধর্ষণ করেছি।’’ এরপর তিনি বলেন, ‘‘আগে স্বামীকে দীক্ষা দিয়েছি। সে অন্য ঘরে চলে যাওয়ার পর ধর্ষণ করেছি।’’
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায় নি। এরপর বিভিন্ন সূত্রে খবরাখবর লাগিয়ে একঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’
পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আজ (শনিবার) অভিযুক্তকে দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হচ্ছে। ধর্ষণ করার কথা উনি স্বীকার করে নিয়েছেন।”
অপরদিকে ধৃত উজ্জ্বল দাসকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবি রাজেন্দ্র প্রসাদ দে জানিয়েছেন, ‘‘দীক্ষা দানের নাম করে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগের ভীত্তিতে ধৃতের পাঁচদিনের পুলিশ হেপাজত চাওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে। বিচারক চারদিনের হেপাজত মঞ্জুর করেছেন।’’ নিগৃহিতা মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেই মহিলার জবানবন্দী নেবে আদালত বলে জানা গেছে।