টিডিএন বাংলা:
২০ একর জমির উপর ২৫০ কোটি ব্যয়ে দীঘায় বিশাল জগন্নাথ মন্দির করেছে তৃণমুল সরকার। বুধবার দীঘায় সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘সমুদ্রসৈকতে একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করব বলে ঠিক করেছিলাম। আমার সঙ্গে সরকারি আধিকারিকেরা ছিলেন। তিন বছর পর সেই কাজ শেষ হল।’’
নিজের ফেসবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন,”মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিশেষ প্রচেষ্টায় পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির। ২০ একর জমির উপর তৈরি এই মন্দির নির্মাণ করতে ইতিমধ্যেই প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। নির্মীয়মাণ মন্দিরের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে আজ আমি সশরীরে উপস্থিত ছিলাম এখানে। আগামী বছর অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে এই মন্দিরের শুভ উদ্বোধন হবে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে প্রশাসনিক বিল্ডিং তৈরি হবে, যেখানে পুলিশি থেকে স্বাস্থ্য – সকল ব্যবস্থাই সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিত থাকবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো লেখেন,”এই মহৎ উদ্দেশ্যসাধনে আমাদের সরকার, প্রশাসন-সহ মন্দিরের নির্মাণ কার্যে জড়িত সকল শ্রমিককে আমি কুর্নিশ জানাই। সকলের মঙ্গল হোক – শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রাতুল চরণে এই প্রার্থনা আমার।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওটা (পুরীর মন্দির) রাজাদের সময়কার। এটা সরকার করেছে। ভোগঘর, স্টোর রুম, গেস্ট রুম আলাদা আছে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মেয়েদের ব্যবসা করার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি জায়গার সদ্ব্যাবহার হয়েছে। পুরীতে যেমন ধ্বজা তোলা হয়, সে ব্যবস্থাও এখানে থাকছে। পুরীর মন্দিরের মতোই প্রতি দিন এখানেও মন্দিরে পতাকা তোলা হবে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। এ বার প্রথম বার রথযাত্রা হবে। রথযাত্রায় একটা সোনার ঝাড়ু থাকে, আপনারা জানেন। ওটার জন্য আমার পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেব।’