বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দীঘায় গিয়ে কার্যত ধুয়ে দিলেন দলের একাংশকে। তাঁর বক্তব্যে ফুটে উঠল ক্ষোভ, হতাশা এবং সতর্কবার্তা।
তিনি বলেন, “আমার এত বছরের সাধনার জীবন। যারা নিজেদের ধান্দায় অন্য দল থেকে এসেছে, তাদের কাছে বিজেপি শিখব না। যারা মমতা ব্যানার্জির আঁচলে বড় হয়েছে, তারা নিজেদের স্বার্থে বিজেপিতে এসেছে।”
দলের বর্তমান অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলীপবাবু বলেন, “বিজেপিকে যে সাফল্য এনে দিয়েছিলাম, এখন সেসব নেই কেন? জনপ্রতিনিধি কমছে। বিজেপির স্বাদ চলে গেছে। ২০২১ থেকে জেতার অভ্যেস হারিয়ে গেছে দলের। মানুষ ভরসা রাখতে পারছেন না।”
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “অনেকেই অন্য দল থেকে এসেছেন কামাতে। করে খাচ্ছেন। সৌজন্য আর লড়াই আলাদা। আমি সেই সংস্কৃতির মানুষ, যেখানে বাজপেয়ীজি মমতা ব্যানার্জির মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন। কিন্তু এখন দলে অপসংস্কৃতি ঢুকে পড়েছে, যা ক্ষতি করছে।”
চরিত্র নিয়েও আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “যারা চারটে বিয়ে করে, দিনের জীবন আর রাতের জীবন আলাদা, তারাই আজ ত্যাগী-ভোগীর জ্ঞান দিচ্ছে। যারা আজ অন্য দল থেকে এসে জ্ঞান দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেই লড়ে দলকে বড় করেছিলাম।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “হিন্দু, সনাতন যারা বলছে, এতদিন কোথায় ছিল? কী তাদের অবদান?”
তবে কর্মীদের উদ্দেশে আশার বার্তাও দেন তিনি। বলেন, “বিজেপি কর্মীরা হতাশ হবেন না। বিশ্বাস রাখুন। যতদিন বিশ্বাস ছিল, দল এগিয়েছে। সন্দেহের পরিবেশ ঢুকেই দলের ক্ষতি হচ্ছে। আমার গা কাটলে বিজেপির রক্ত বেরোবে। আমি বিজেপিতে থাকব। যতদিন দল কাজ দেবে, করব। কারণ আমি মানুষের মধ্যে থাকি।”