নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, ২১ মে ২০২২
পটল দশ টাকা ও কাঁঠাল সাত টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গ্রামের বাজারে। ফলে চাষের খরচই উঠছে না চাষীদের। নদীয়া, মুর্শিদাবাদের একাধিক চাষীর অভিযোগ, এখন মাঠে পটল ভালো উঠছে, কিন্তু দাম নেই। আমাদুল মন্ডল নামে এক কৃষক এই প্রতিবেদককে জানান, পটল চাষে ব্যাপক খরচ। সার,বিষ নিয়মিত দিতে হয়। বর্ষায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এখন পটলের দাম পাচ্ছি না। দশ টাকা, নয় টাকা কেজি বেচে কী হবে? যে খরচ হয়েছে তা এখন না উঠলে কবে উঠবে। সামনে বর্ষা, যদি পটল নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বড় লোকসান হবে।
আরেক চাষী জাকির হোসেন মন্ডলেরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, সারের যা দাম তাতে চাষীরা কিভাবে আবাদ করবে! যখন ভালো পটল উঠছে তখন দাম নেই আর যখন কম পটল উঠবে তখন দাম বাড়বে। এতো টাকা খরচ করে লাভ হবেনা।
চাষীদের অভিযোগ, সার ও কীটনাশকের দাম বেশি। এছাড়া ডিজেল কিনে সেচ দিতে হয়েছে। শ্রমিকের খরচও বেশি। তাই তেমন লাভ হবেনা।
শুধু পটল নয়, কাঁঠালের দাম এখন সাত টাকা, আট টাকা কেজি। এক কাঁঠাল ব্যাবসায়ী জানান, এবার কাঁঠালের দাম কম, কেননা বাগানে ব্যাপক কাঁঠাল হয়েছে। যখন নতুন নতুন কাঁঠাল উঠেছে তখন একটা কাঁঠালের দাম ছিল ষাট টাকা,কিন্তু এখন কুড়ি টাকা। কেজি হিসেবে সাত,ছয়,আট টাকা। তবে কেজি দরে না কিনে মানুষ পুরো একটা কাঁঠাল কিনতে চাইছে, এতে চাষীদের লাভ হচ্ছে না, আবার আমাদেরও লাভ হচ্ছে না। দাম বাড়লে সবার লাভ।
গ্রামের হাটে গিয়ে দেখা গেল, পটল কিনতে ভিড়। এক কৃষক জানান, আলু কুড়ি টাকা,পঁচিশ টাকা কেজি আর পটল দশ টাকা, কাঁঠাল সাত টাকা কেজি। মানুষ সস্তায় পটল,কাঁঠাল খাচ্ছে কিন্তু চাষীদের লাভ হচ্ছে না।
আরেক চাষী অবশ্য বলেন, পটল ও কাঁঠালের দাম গ্রামে না থাকলেও কলকাতা শহরে আছে,তাতে চাষীদের লাভ হচ্ছে না,লাভ করছেন ব্যবসায়ীরা।