মালদার বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাইস্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক ইংরেজি পরীক্ষার দিন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যার জেরে পরীক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় ছয়জন শিক্ষক গুরুতর জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বুধবার চামাগ্রাম হাইস্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের কাছে নিষিদ্ধ সামগ্রী আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় কিছু পরীক্ষার্থী এর বিরোধিতা করে এবং আচমকা একদল পরীক্ষার্থী শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। হঠাৎ এই ঘটনায় স্কুল চত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত শিক্ষকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে, বুধবারই মালদায় পরীক্ষার পরিদর্শনে আসেন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণ বিবরণ জানানো হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষকদের ওপর এই ধরনের হামলার ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আতঙ্কিত শিক্ষক মহল নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলেও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলই ঘটনার নিন্দা করেছে এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে।
এ ধরনের ঘটনা শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলার চরম অবনতি নির্দেশ করে। নকল রোধ করতে গিয়ে যদি শিক্ষকরা আক্রান্ত হন, তবে তা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসন ও শিক্ষা পর্ষদের তরফে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।