‘ইংরেজ ভারত ছাড়ো’ এই শ্লোগান তুলেছিলেন একজন মুসলিম স্বাধীনতা সংগ্রামী! মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া ইউসুফ মেহের আলী 1942 সালে প্রথম ইংরেজ ভারত ছাড়ো শ্লোগান তুলেছিলেন! ‘ গো ব্যাক’ স্লোগানটি ও তিনি তুলেছিলেন! ভারতের আজাদী আন্দোলনে এদেশের মুসলিমরা বড় ক্রান্তিকারী ভূমিকা পালন করেছিলেন! বিদেশি বেনিয়া ব্রিটিশদের সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলন মুসলিম স্বাধীনতা সংগ্রামীরাই প্রথম শুরু করেছিলেন! 1920 সালে খেলাফত আন্দোলন চলাকালীন মাওলানা মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সর্বপ্রথম বিদেশি ইংরেজদের তৈরি পণ্য বয়কটের পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন! পরে যা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল! ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে ভারতবর্ষের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনের বড় অবদান ছিল!
তৎকালীন ভারতের সবচেয়ে বড় চিনি ব্যবসায়ী মুম্বাইয়ের হাজি সাবু সিদ্দিক তার চিনি কারখানা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছিলেন অসহযোগ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে! এই চিনি কারখানা এত বড় ছিল যে, এই কারখানা থেকে উৎপাদিত চিনি ইংল্যান্ডের মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিস যোগান দিত!
খুব কম মানুষই জানেন বাটা জুতো কোম্পানির মালিক ছিলেন একজন মুসলমান! অসহযোগ আন্দোলনের সময় একজন ইংরেজ বাটা কোম্পানি কিনে নিয়েছিলেন! আপনি জেনে বিস্ময় হতবাক হতে পারেন শহীদ ভগৎ সিং এর কেস ও লড়েছিলেন একজন মুসলিম আইনজীবী, ব্যারিস্টার আসিফ আলি! দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে শহীদ হওয়া ভগৎ সিং এর কেস তখনই তিনি লড়েছিলেন, যখন দেশের কোনো আইনজীবী এই বিপ্লবীর পাশে দাঁড়িয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে কেস লড়ার জন্য রাজি ছিলেন না!
‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান এর উদ্গাতা ছিলেন বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী মাওলানা হাসরাত মোহানী! শুধু তাই নয় তিনি ভারতের আজাদীর রূপরেখাও তৈরি করেছিলেন!
ঐতিহাসিকদের মতে 1857 সালে সিপাহী বিদ্রোহ তথা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম যে মহাবিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, সেই আজাদী আন্দোলনে প্রায় 50 হাজার ওলামা দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছিলেন! আর লাখের বেশি মুসলমানকে বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করার অপরাধে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল! 1857 সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মহাবিদ্রোহ সফল হয়নি! কিন্তু ক্ষমতালোভী নিষ্ঠুর ব্রিটিশ শাসক ভবিষ্যতে যাতে মুসলিমরা আর তাদের শাসন ক্ষমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে না পারে এবং বিদ্রোহকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে দিল্লি থেকে কলকাতা পর্যন্ত শের শাহ রোডের দু’পাশের গাছে বিপ্লবী ওলামাদের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিল প্রকাশ্যে! এই দীর্ঘ রাস্তায় একটিও গাছ ফাঁকা ছিল না যেখানে শহীদ ওলামাদের লাশ ফাঁসিতে ঝোলানো ছিল না!
ব্রিটিশ শাসকদের এই নৃশংস কাণ্ডের একটাই উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিপ্লবী মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া! যাতে আগামীতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে! মুসলমানরাই প্রথম ভারতের আজাদী জন্য ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নেমেছিল! মহীশুরের সুলতান হায়দার আলী ও তাঁর পুত্র টিপু সুলতান ভারতের প্রথম আজাদীর জন্য লড়াই করে শহীদ হওয়া শাসক ছিলেন! বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ আশফাক উল্লাহ খান সবচেয়ে কম বয়সে দেশের জন্য ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছিলেন! খুব কম লোকই এটি জানেন যে, ‘জয়হিন্দ’ স্লোগান ও একজন মুসলিম স্বাধীনতা সংগ্রামী আবিদ হাসান সাফানি দিয়েছিলেন! এই শ্লোগান আজও ভারতের সেনাবাহিনীতে এবং দেশের প্রশাসনে সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়!
ভারতের তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা যিনি তৈরি করেছিলেন সেই মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী সুরাইয়া তৈয়বজী একজন মুসলমান ছিলেন!
কানপুরের জন্ম নেওয়া আজিমুল্লাহ খান প্রথম নিজের দেশকে ভালোবেসে ‘ভারত কি জয়’ স্লোগান তুলেছিলেন! কিন্তু কিছু সাম্প্রদায়িক মানুষ এই স্লোগান এর সঙ্গে মাতা শব্দটি ঢুকিয়ে দিয়েছেন!
জেনে আরো বিষ্ময়ে অভিভূত হবেন, দেশের প্রথম জাতীয় সংগীতও লিখেছিলেন এই দেশপ্রেমিক স্বাধীনতা সংগ্রামী আজিমুল্লাহ খান! খুব কম লোকই জানেন সংগ্রামী নায়ক বিপ্লবী মাওলানা কাসেম নানুতুবী উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দ দারুল উলুম মাদ্রাসা গড়ে তুলেছিলেন ইংরেজদের ভারত ছাড়া করার লক্ষ্য নিয়ে! এই মাদ্রাসা গড়ে তোলার লক্ষ্যই ছিল দেশে এমন কিছু যুবককে শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলা যারা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নিজের জীবনকে উৎসর্গ করবেন! রেশমি রুমাল আন্দোলনের সূচনাকারি বিপ্লবী মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধি দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্র ছিলেন! মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এর সঙ্গে মিলে বিদেশে বসে প্রথম ভারতের স্থায়ী সরকার গঠন করেছিলেন এবং তিনি সেই সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছিলেন!
আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান 1920 সালে প্রথম গান্ধীজিকে ‘মহাত্মা’ খেতাব দিয়েছিলেন! পরবর্তীতে এই মহাত্মা খেতাবটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে বর্তমানে সারা পৃথিবীর মানুষ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে মহাত্মা নামে জানেন! মাওলানা মাহমুদুল হাসান আর এক বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী হাকিম আজমল খানের সঙ্গে 1920 সালে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি স্থাপন করেছিলেন! যাতে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইংরেজদের শিক্ষাব্যবস্থার কবল থেকে মুক্ত করা যায়! আর জেনে অবাক হবেন কালাপানি নামক মর্মান্তিক দ্বীপান্তরের কঠিন সাজা ব্রিটিশ যাদের দিয়েছিল তাঁদের নব্বই শতাংশই ছিলেন মুসলমান স্বাধীনতা সংগ্রামী! আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এখনও সবচেয়ে বেশি কবর মুসলমান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের!
মুসলমান স্বাধীনতা সংগ্রামী ছাড়া অন্যান্য যারা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন করতে গিয়ে ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়েছিল, সে সময় তারা কালাপানি দ্বীপান্তরের সাজা থেকে বাঁচতে ব্রিটিশদের কাছে এই মর্মে মুচলেকা দিয়েছিল তারা আর দেশের জন্য কোন স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলন করবেন না! শুধু তাই নয় তারা ব্রিটিশের অনুগত গুপ্তচর হয়ে বিদ্রোহী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কার্যকলাপের খবর গোপনে জানাবেন! মুসলমানরাই প্রথম ইংরেজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল! 1772 সালে মোজাদ্দেদে জামান মাওলানা শাহ আব্দুল আজিজ ইংরেজদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে এলান করেছিলেন ইংরেজদের গোলামী হারাম বলে! সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে দেশের জন্য লড়াই করে নিজেদের কোরবানি করা সমস্ত মুসলমানদের উপর ফরয বলে! 1857 সালের মহাবিদ্রোহের প্ল্যানিং করেছিলেন মাওলানা আহমদ উল্লাহ! এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ধরার জন্য ব্রিটিশ শাসক তাঁর মাথার মূল্য হিসাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করেছিল! এত টাকার পুরস্কার মূল্যের লোভ সামলাতে না পেরে রাজা জগন্নাথ পয়সার লালচে মাওলানা আহমদ উল্লাহ শাহ এর গোপন ডেরার খোঁজ দিয়ে দিয়েছিলেন ইংরেজদের কাছে! ফলে এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শহীদ হতে হয়েছিল ইংরেজদের হাতে! 1857 সালের মহাসংগ্রাম এদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে শহীদ হওয়া নব্বই শতাংশ স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ছিলেন মুসলমান! জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডে ব্রিটিশ সেনাদের গুলি খেয়ে শহীদ হওয়া মানুষদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম! ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস দলের নেতৃত্ব দেওয়া নয় জনের বেশি প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুসলমান! আফ্রিকাতে গান্ধীজী যে কলেজে আইন পড়তে গিয়েছিলেন সেই কলেজটি ও ছিল একজন ভারতীয় মুসলমানের! ভারতে আসার পর দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আলী ব্রাদার্সের সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন! এই আলী ভাতৃদ্বয় ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের দুজন বিখ্যাত সেনানী মাওলানা মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা শওকত আলী!
1921 সালে কেরলে মুসলিমরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যে স্বাধীনতার লড়াই করেছিলেন তাতে তিন হাজারের বেশি মুসলমান স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ হয়েছিলেন! আর 50 হাজারের বেশি মুসলমান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিল! ইতিহাসে এই আযাদী আন্দোলন মোপালা মুসলমান আন্দোলন নামে পরিচিত! 1942 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রূপরেখা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ তৈরি করেছিলেন!
ভারতের সংবিধান নির্মাতা ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরকে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত করে তুলতে মুসলমানদের বড় অবদান ছিল! দলিত সমাজের মানুষ হওয়ার কারণে 1946 সালের সাধারণ নির্বাচনে ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর ভোটে পরাজিত হন! তখন বেঙ্গল মুসলিম লীগ ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরকে মুসলিম এলাকা থেকে ভোটে লড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান! মুসলিম এলাকা থেকে ভোটে জিতে সাংসদ হওয়ার সুবাদে দেশের সংবিধান প্রণেতা হওয়ার সুযোগ লাভ করেছিলেন তিনি! মুসলমানরা যদি ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরকে না জেতাতেন তাহলে ভারতের সংবিধান লেখার সুযোগ তিনি পেতেন না! ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য সবচেয়ে বেশি শ্লোগান-কবিতা-গান ও পুস্তক মুসলমানরাই লিখেছিলেন! বিখ্যাত উর্দু কবি স্বাধীনতা সংগ্রামী আল্লামা ইকবালের লেখা ‘সারেজাঁহা সে আচ্ছা হিন্দুস্তা হামারা’ গীত আজও সারাদেশে গাওয়া হয়! দেশের জন্য শহীদ হওয়া প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী সাংবাদিক ছিলেন মীর বাকের! ভারতের স্বাধীনতার জন্য মুসলিম রাজা-মহারাজারা অকাতরে নিজেদের খাজানা তুলে দিয়েছিলেন!
কলকাতার তৎকালীন সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হাজী ওসমান সইদ নিজের সমস্ত সম্পদ দেশের স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন! হাজী ওসমান সইদ কত বড় ধনী ব্যক্তি ছিলেন তার একটি ছোট্ট উদাহরণ হল 1920 সাল পর্যন্ত কলকাতাতে যত বড় বাড়ি এবং স্কুল বিল্ডিং সবগুলি তাঁরই ছিল! কলকাতায় প্রথম সুপার ক্যাস স্টোর বাজার হাজি সইদ বানিয়েছিলেন! পরবর্তীতে দেশের জন্য সবকিছু দান করে নিজে একটি ভাড়া বাড়িতে শেষ জীবন কাটিয়ে ছিলেন! আমির হামজা এবং হাবিব ইউসুফ মারফানি কোটিপতি নয়, আরবপতি সম্পদের মালিক ছিলেন! দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের সমস্ত সম্পদ দান করে দিয়েছিলেন এই দুই আরবপতি ধনী মানুষ! নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র আজাদ হিন্দ ফৌজ আফগানিস্তানে যে স্বাধীন ভারত সরকার গঠন করেছিল, সেই স্বাধীন সরকারের ন’জন মন্ত্রীর মধ্যে পাঁচ জন মন্ত্রী ছিলেন মুসলমান! ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের সমস্ত মসজিদ গুলিকে মুসলিম স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আস্তানা হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন! এই মসজিদ গুলিতে সকাল-সন্ধ্যায় নামাজের পর দেশের স্বাধীনতার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের লড়াইয়ে আহ্বান জানানো হতো! ধূর্ত ব্রিটিশরা মুসলিম স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আজাদির লড়াই এর কৌশল জানতো! তাই আজাদির লড়াই এর সময় দেশের এমন কোন মসজিদ ছিল না যেখানে ব্রিটিশ শাসকদের গুলিতে মুসলিম স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্তে রাঙা হয়ে ওঠেনি! এসব ছাড়াও দেশের কোটি সাধারণ মুসলমান ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন! ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের আসল সত্য হলো, ভারতের মুসলমানদের আত্মাত্যাগ ছাড়া এদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব ছিল না! ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বর্তমানে আমরা যে স্বাধীন ভারতবাসি বলে গর্ব করি, তা মুসলমানদের আত্ম বলিদানের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়েছে! এই সত্য আমরা যেন ভুলে না যাই !