নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা:
রাজ্যে শিক্ষা সংকটের আরো একটা ছবি সামনে এলো। প্রায় হাজার ছাত্রছাত্রীদের পড়ান মাত্র চারজন শিক্ষক। শুধু তাই নয়, ঘন্টা বাজানোর কাজও করেন প্রধান শিক্ষক।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের মহেশপুর গ্রামপঞ্চায়েতের নূর জাহানার স্মৃতি হাই মাদ্রাসায় এমনই ছবি ধরা পড়েছে। জানা গেছে, এখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। পিওন ও ক্লার্ক নেই। প্রধান শিক্ষক জানে আলম জানান, কিছু করার নেই। শিক্ষক শিক্ষিকা,ক্লার্ক, পিয়ন না থাকলে যা হয় তা হচ্ছে। এক সময় ছাত্রছাত্রী তেমন আসতো না, এলাকার মানুষদের নিয়ে বহু চেষ্টায় এখন কত ছাত্রছাত্রী পড়তে আসে। তিনি চান দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হোক।
দীর্ঘদিন রাজ্যের সরকারি মাদ্রাসায় নিয়োগ নেই, ফলে ধুঁকছে প্রতিষ্ঠানগুলি। জানা গেছে,
ফরাক্কা ব্লকের প্রত্যন্ত পিছিয়ে পড়া এলাকা মহেশপুর বটতলা গ্রামে ২০১০ সালে নূর জাহানারা স্মৃতি হাই মাদ্রাসা অনুমোদন পায়। তেরোজন শিক্ষক নিয়ে পঠন-পাঠন শুরু হয় ২০১২ সালে। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক-সহ মোট চারজন শিক্ষক নিয়ে চলছে পঠন- পাঠন। বাকিরা অনেকেই বদলি হয়ে চলে গেছেন। বদলি হলেও নতুন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হয়নি। ফলে বর্তমানে যারা আছেন তাদের উপরেই চাপ বাড়ছে, এতগুলো ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রধান শিক্ষক জানে আলম অতিরিক্ত পরিশ্রম করছেন।
জানে আলম জানান, ফরাক্কা ব্লকের মহেশপুর অঞ্চল অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া। এই মাদ্রাসার দৌলতে বর্তমানে সেই ছবি অনেকটাই বদলেছে। স্কুল শিক্ষকরা গ্রামে, গ্রামে ঘুরে তাঁদের অভিভাবকদের বুঝিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তির ব্যবস্হা করেছে। কিন্তু এই মাদ্রাসা বর্তমানে শিক্ষকের অভাবে ভুগছে।”
তবে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। স্থানীয় একজন বলেন, শিক্ষক বদলি নীতিতে শিক্ষকদের স্বার্থ দেখা হয়েছে। কিন্তু পড়ুয়াদের কথা ভাবা হয়নি।
শুধু তো নূর জাহানারা স্মৃতি হাই মাদ্রাসা নয়, রাজ্যের বহু মাদ্রাসা ও স্কুলে এখন শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। এমএসকে,এসএসকেতেও নিয়োগ হয়নি। কিন্তু কবে শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া? পড়ুয়া অভিভাবক, শিক্ষাপ্রেমী সকলের একটাই প্রশ্ন।