বার্মায় সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৪৪ জনে, আহত হয়েছেন ৩৪০৮ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৩৯ জন। শনিবার দুপুরেও বার্মায় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.১। ওইদিন রাতে বার্মার জুন্টা প্রশাসন এই তথ্য মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানায়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর্থিক, পরিবেশগত ও সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ বারের মতো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বার্মা। এখনও পর্যন্ত ১৬৪৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩৪০৮। জুন্টা প্রশাসনের দাবি, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে বার্মা, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। দুই দেশের বেশ কিছু শহরে বহুতল ভবন, সেতু ও ওভারব্রিজ ধসে পড়ে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককের বহু এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
শনিবার চিনের ৩৭ জনের একটি উদ্ধারকারী দল ও মেডিকেল টিম বার্মায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বার্মার সরকারি সংবাদমাধ্যম। পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকেও ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধারকারী দল ও মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে।
ভেঙে পড়া আবাসনের নিচে এখনও অনেকেই আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের জন্য জোরকদমে চলছে তল্লাশি অভিযান। উদ্ধারকারীদের প্রাণপণ প্রচেষ্টায় চলছে প্রাণের খোঁজ।