যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ঘোষণা আসার পরদিন ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত, বলছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ বিরতি চুক্তি বিফল হবে? তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে এটি (যুদ্ধবিরতি চুক্তি) লাইনচ্যুত হতে চলেছে, এমনটা বলার মতো আমরা এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’
আবার গতকাল ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটির কথা থাকলেও তা হয়নি বলে খবরে প্রকাশ। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার বা শনিবার ভোট হতে পারে।
এই যুদ্ধ বিরতি চুক্তি চলার মধ্যেও গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল রাতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার ঘোষণা আসার পরদিন ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে হামলা করছে ইসরাইল। এরপর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েল জানিয়েছে, এতে ১ হাজার ২০০ জন তাদের লোক নিহত হয়েছেন। ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি হামলায় গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার বেশির ভাগকেই বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজায় খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও নিরাপদ আশ্রয়ের গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলা চলছে। এরই মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে, কিন্তু ইসরায়েলের হামলা থামছে না বলে অভিযোগ।
এদিকে হামাসের পক্ষে খলিল আল হায়া বলেছেন, “সকল ভুক্তভোগী, প্রতিটি রক্তের ফোঁটা, দুঃখ ও নিপীড়নের প্রতিটি অশ্রুর পক্ষে আমরা বলি, আমরা ভুলবো না এবং আমরা ক্ষমা করবো না।”
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মানুষ যুদ্ধ চায়না। যুদ্ধ বিরতি চুক্তির ঘোষণা শোনার পর দুই দেশই উৎসবের মেজাজে সাধারণ মানুষ। পথে নেমে অনেককে আনন্দ উদযাপন করতে দেখা গেছে দুই দেশে।