টিডিএন বাংলা ডেস্ক: এক কথায় হাড় হিম করা ঘটনা। ঘটনা মুম্বইয়ের। নিজের মেয়েকেই খুন করলেন এক মহিলা। তাঁর অবিবাহিতা মেয়ে গর্ভবতী। এই কথা শোনার পরেই মেয়েকে খুন করেন তিনি। মহিলার এই কাজে সাহায্য করে তাঁর ছোট মেয়েও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনের ঘটনা ঘটেছে মুম্বইয়ের নালাসোপাড়ায়। মমতা দুবে নামের ওই মহিলা জানতে পারেন, তাঁর ২০ বছরের মেয়ে অস্মিতা দুবে , হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অস্মিতা গর্ভবতী বলে জানার পরেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ৪৬ বছর বয়সী মমতা দুবে। তিনি জানতে পারেন অস্মিতার গর্ভে এসেছে তার প্রেমিকের সন্তান। এই কথা জানার পরেই মেয়ের সঙ্গে কথাকাটি হয় তাঁর। তিনি অস্মিতাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু অস্মিতা তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে খুন করেন মমতা দুবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই কাজে মমতা দুবেকে সাহায্য করেন তাঁর ছোট মেয়ে। অস্মিতার বোন দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া। ১৭ বছরের সেই মেয়ে মায়ের পক্ষ নিয়ে অস্মিতার দুই পা দড়ি দিয়ে বেঁধে চেপে ধরে রাখে। তার পরেই তাঁর মা মমতা নির্মম ভাবে খুন করেন অস্মিতাকে।
পুলিশের দাবি, মেয়ে মারা যাওয়ার পরেই থানায় নিজেই অস্মিতার মৃত্যুর খবর দেন মমতা দুবে। ওই এলাকার থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মমতা পুলিশকে খবর দিয়ে জানান যে, তাঁর মেয়ে অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় মারা গিয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখে মৃতদেহে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। অস্মিতার দেহে মারধর-সহ একাধিক আচঁড় এবং আঘাতের চিহ্ন আছে। সেই সময়ে ঘরে ছিলেন না মমতার ছোট মেয়ে। এই নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। তার পরেই মমতা দুবেকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। সেখানে জেরায় মমতা সব কথা স্বীকার করেন।
মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ার খবর তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। তাঁর মেয়ে অস্মিতা গর্ভপাত করতে রাজি না হওয়ায় রেগে গিয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। ছোট মেয়ে এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ১০৩ ধারায় খুন, ১১৫ ধারায় আঘাত এবং ৩৫১ ধারায় অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের মামলা রুজু করেছে। পুলিশ অস্মিতার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এবং তার প্রেমিক- সব বিষয়ে খোঁজ করছে। এখনও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এই পরিবার সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে, কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তা জানতে চলছে অনুসন্ধান।
রোজার স্মৃতির পাতায়: মেঘলা দিনের বিভ্রান্তি থেকে ইতিকাফের একান্ত প্রহর
সেলিম রেজা রমজান আসলেই ছোটবেলার রোজার দিনগুলো মনে পড়ে যায়। সেইসব দিন, যখন রোজার অর্থ ছিলো সারাদিন উপোস থেকে মাগরিবের...