চাউমিন নিয়ে বচসা, কিশোরকে পিটিয়ে মারল মালিক

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: চাউমিনকে নিয়ে বচসার পরিণতি খুন। চাউমিন খেতে গিয়ে দোকানদারের সঙ্গে ঝামেলার জের! ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরকে পিটিয়ে মেরে গ্রেফতার বিক্রেতা। ওড়িশার জাজপুর জেলার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, সেখানকার একটি স্টলে চাউমিন কিনতে গিয়েছিলেন শান্তনু দাস। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও খাবার না মেলায় রীতিমতো চটে যান বিক্রেতার উপর। প্রথমে কিছুটা তর্কাতর্কি হলেও পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এরপর বিক্রেতার মারে ঘটে যায় অঘটন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় বুধবারই দোকান মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বিজেডির স্থানীয় নেতা বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ধৃত ব্যক্তি বিজেডির স্থানীয় নেতা বলেও জানা গিয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটনার সূত্রপাত। মারধরের চোটে গুরুতর আহত ওই কিশোর এক সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর, চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত কিশোরের বাবা শুকদেব। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তিনি স্থানীয় অনিল কুমার মল্লিকের দোকানে চাউমিন খেতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৩০ মিনিট পরেও তাকে তা পরিবেশন করা হয়নি।
এরপর শুকদেব যখন দেরির কারণ জিজ্ঞাসা করেন, তখন দোকান মালিক অনিল কুমার মল্লিক প্রথমে তাকে মারধর করেন। ছেলে শান্তনু ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাতে বাধা দেয়। কেন মল্লিক তার বাবাকে মারধর করছেন, দোকান মালিককে জিজ্ঞাসা করে সে। অভিযোগ, এরপরই কাছাকাছি থাকা স্থানীয় বিজেডি নেতা কমল মল্লিক অন্যদের সঙ্গে নিয়ে এসে তাঁর ছেলে শান্তনুকে লোহার রড দিয়ে মারধর করেন।
অভিযোগ, তাতেই ওই কিশোর গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন জখম বাবা-ছেলে দুজনকেই জাজপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শান্তনুর অবস্থার অবনতি হলে, তাকে কটকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বিজেডি নেতা কমল মল্লিককে পুলিস গোপন জায়গা থেকে গ্রেফতার করলেও, বাকি অভিযুক্তরা এখনও পলাতক।

Exit mobile version