এবারেও দুর্দান্ত ফলাফল করল মালদার কলিয়াচক আবাসিক মিশন। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৫৬ জন, মাধ্যমিকে ৩২ জন নব্বইয়ের বেশি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, মাধ্যমিকে রাজ্যে অষ্টম আসিফ মেহবুব কালিয়াচক আবাসিক মিশনেরই ছাত্র। আরো বেশ কয়েকজন অল্পের জন্য এক থেকে দশের মধ্যে আসতে পারেনি। মিশনের দুর্দান্ত ফলাফলে খুশি জেলাবাসী।
এ বছর ২০০ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। সকলেই প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। ৯০ শতাংশের উপরে নম্বর পেয়েছে ৫৫ জন। ৮৫ শতাংশের বেশি ১১৩ জন। ১৬৭ জন ছাত্রছাত্রী ৮০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে। কলিয়াচক আবাসিক মিশনে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে আসিক ইকবাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮০ অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ। আফিয়া আকিলা ৯৫.২ শতাংশ, অনুভব লালা ৯৪.৮, তামান্না নুর জাহান ৯৪.৬, আজিদা ইয়াসমিন ৯৪.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও মাধ্যমিকেও দুর্দান্ত ফল করেছে কালিয়াচক আবাসিক মিশন। ৬৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে এই মিশনের আসিফ মাহবুব। সে ৯৮.২৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। আমান মোমিন ৯৭.৪৩ ও ইস্তেক আহমেদ ৯৭.১৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। মাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১০ জন এবং ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৩২ জন। ৮০ জন লেটার পেয়েছে। ১১৯ জনই সফল।
এই অসামান্য ফলাফলে খুশি মিশনের সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। তিনি টিডিএন বাংলাকে জানান, ২০০৫ সালে মিশন তৈরি হয়। প্রতি বছর আমাদের মিশন ভালো রেজাল্ট করে। সেই কারণে ছাত্রছাত্রীদের বিশাল ভিড়। হিন্দু মুসলিম অভয় সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরাই পড়াশোনা করে। তবে মুসলিম ছেলেদের জন্য আছে মসজিদ, সেখানে নামাজ হয়।
তিনি জানিয়েছেন, এটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অনুমোদিত মিশন। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত আছে। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগ পড়ানো হয় এবং মেডিকেলের জন্য কোচিং দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে মাধ্যমিকে মোহাম্মদ মুকতাসিফ হোসেন ৯৫ শতাংশ এবং সাজিদ হক ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। সেবার ১২২ জন ছাত্রছাত্রীই সফল হয়েছিল।
২০২৩ সালে মোহাম্মদ আরিফ ৯৫.৫৭ নম্বর পেয়েছিল। সেবার ১১৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। ওই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছিল।
বিভিন্ন সামাজিক কাজেও থাকে কালিয়াচক আবাসিক মিশন। ২০২১ সালে গঙ্গাভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে টিডিএন বাংলা জানতে পেরেছে। ২০২০ সালে কালিয়াচক বইমেলায় অংশ নিয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা।