কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গিহানার জবাবে কড়া পদক্ষেপ নিল ভারত। কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল, সন্ত্রাসের জবাব ভারত দেবে নিজের পছন্দের সময় ও স্থানে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মঙ্গলবার মধ্যরাতের পরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একযোগে আঘাত হানে ভারতীয় বাহিনী। এক্স হ্যান্ডলে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে এই অভিযান সম্পর্কে জানানো হয়।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বহাওয়ালপুর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, যেসব জায়গা থেকে ভারতে জঙ্গি হামলার ছক কষা হচ্ছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল, সেগুলিকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “আমাদের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আঘাত হানার প্রশ্নে ভারত উল্লেখযোগ্য সংযম দেখিয়েছে।”
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ ভারতের হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “পাকিস্তানের পাঁচটা এলাকায় কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়েছে ধূর্ত শত্রু। ভারতের এই যুদ্ধ ঘোষণার পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। ইতিমধ্যেই জবাব দেওয়া শুরু হয়েছে। যোগ্য জবাব দেব। পাকিস্তানের সেনার পাশে পুরো দেশ রয়েছে। পাকিস্তানের সকল নাগরিকের মনোবল তুঙ্গে।”
অন্যদিকে ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বের গলিতে গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনা জবাব দেওয়া শুরু করেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বায়ুসেনার সমস্ত ইউনিটকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেননা পাকিস্তানের তরফে কোনও রকম হামলা চালানো হলে যেন তার দ্রুত জবাব দেওয়া যেতে পারে।