টিডিএন বাংলা ডেস্ক: রাজ্যে যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়েজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পশুপালন মন্ত্রী কে আথকানাইডু সাবধান করেছেন, যাতে কেউ এই নিয়ে গুজব না ছড়ান। তাঁর অভিযোগ, সামাজিক মাধ্যমে অনেকে মুরগীর মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে অনেক সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করে। সামাজিক মাধ্যমে অনেক সময় অপপ্রচার করা হয়। সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে, মৃত মুরগীর সংখ্যা ৪০ লাখ, প্রকৃতপক্ষে ১০.৭ কোটির মধ্যে সংখ্যাটা মাত্র ৫.৪ লাখ।
আন্দাভালিতে এক মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত পাখিদের মেরে ফেলা হচ্ছে। ডিম নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে।
৭২১টি ব়্যাপিড রেসপন্স টিম একযোগে কাজ করছে। অন্ধ্রপ্রদেশের ২টি গ্রামে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা (এইচ ৫ এন১) এর ওপর আলাদা করে নজর রাখা হচ্ছে। ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে ভেলপুরুতে অর্থাৎ উত্তর গোদাবরী জেলায়।
ইলুরু জেলার বাদামপুরি গ্রামে ২.২ লাখ মুরগীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তর গোদাবরী জেলায় ২.৫ লাখ মুরগীর মৃত্যু হয়েছে। পূর্ব গোদাবরীতে ৬৫ হাজার এর মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আক্রান্ত পোল্ট্রিগুলিকে রেড জোনের আওতায় ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভয়ের কারণ নেই, তাও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে কিছু দিন ডিম ও মুরগীর মাংস না খাওয়ার জন্য।
সারা রাজ্যে ৭২১ টি আরআরটি গ্রুপ পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। সতর্ক আছে পশু পালন দফতর। সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাইডু বলেন, পশুপালন দফতর সতর্ক । প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নোওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত এলাকার ১ কিলোমিটার ব্যসার্ধের মধ্যে এলাকাকে এলার্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। আর ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে এলাকা মুরগী,ডিম নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।