নতুন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের—আসন্ন জনগণনার সঙ্গেই এবার হবে জাতভিত্তিক গণনাও। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
দিনটি ছিল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, নিরাপত্তা ও রাজনীতি সংক্রান্ত পৃথক দুটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই জাতভিত্তিক গণনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রেলমন্ত্রী জানান, রাজনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারকার জনগণনায় জাতভিত্তিক তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।
উল্লেখ্য, শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। প্রতি দশ বছর অন্তর এই গণনা হলেও, কোভিড পরিস্থিতির অজুহাতে ২০২১ সালের জনগণনা স্থগিত করে মোদী সরকার। বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন জাতভিত্তিক গণনার জন্য। এমনকি ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে এটি একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছিল।
বৈষ্ণব কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, পূর্বতন সরকারগুলোর সময় কখনোই স্বচ্ছভাবে জাতভিত্তিক গণনা হয়নি। এবার তা স্বচ্ছতার সঙ্গেই করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই সিদ্ধান্ত। কারণ, আরজেডি ও বামদের সমর্থনে পরিচালিত বিহার সরকার ইতিমধ্যেই জাতভিত্তিক সমীক্ষা করেছে। সেই চাপেই কেন্দ্র এবার জাতভিত্তিক গণনার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
তবে বৈষ্ণব সতর্ক করে বলেন, কিছু রাজ্যে আগে যে জাতভিত্তিক সমীক্ষা হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং তার ফলাফল নিয়েও রয়েছে সংশয়।