হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল জয়পুরের দিল্লি রোডের ঈদগাহ চত্বর। হিন্দু-মুসলিম ঐক্য কমিটির উদ্যোগে, ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ঈদগাহে আগত মুসলমানদের উপর ফুল বর্ষণ করে সম্প্রীতির বার্তা দেন। এই ভিডিও সামনে আসতেই আয়োজকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ মানুষ।
রবিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার পর থেকেই ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়। চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও সমাজের মানুষ একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায় এবং বিশেষ দিনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। সোমবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই সময় জয়পুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ ফুল ছিটিয়ে তাদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর, মুসলিম সম্প্রদায় এই দিনটি বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন করে। ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রস্তুত করা হয় এবং দরিদ্রদের মধ্যে খাবার, পোশাক বিতরণ করা হয়।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ এক পোস্টে লেখেন, “ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা। এই উৎসব সমাজে আশা, সম্প্রীতি ও দয়ার মনোভাব আরও বৃদ্ধি করুক। সকলের জীবনে আনন্দ ও সাফল্য আসুক। ঈদ মোবারক!”
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পাটনার গান্ধী ময়দানে ঈদের এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি বলেন, “ঈদ শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সমাজে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা বহন করে।”
কংগ্রেসের নেতারাও একাধিক ঈদগাহে যান। বিজেপির দিলীপ ঘোষ ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ কাল সিমাই পার্টি ‘ হবে।
ঈদ উদযাপনে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের এমন দৃশ্য উপস্থিত সকলের মন ছুঁয়ে যায়। সম্প্রীতির এই নজির আবারও প্রমাণ করল, ধর্ম আলাদা হলেও ভালোবাসা ও মানবিকতা সর্বদাই সবার উপরে।