রেলের ব্যর্থতা! নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে কতজনের মৃত্যু?

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: অনেকে বলছেন, এক কথায় রেলের চরম ব্যর্থতা, কেননা নয়াদিল্লি স্টেশনে মৃত্যু ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ শিশু ও ১১ জন মহিলা। শনিবার রাতে কয়েকশো পুণ্যার্থী নয়াদিল্লি স্টেশনের ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভিড় করেছিলেন। আহতদের দ্রুত এলএনজেপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর দায় কার? রেল বলছে, প্রত্যশার তুলনায় বেশি ভিড় এবং গুজবের জেরে দুর্ঘটনা। কিন্তু সে যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধী শিবির। কংগ্রেসের দাবি, রেলের সার্বিক ব্যর্থতার জেরেই এই দুর্ঘটনা। দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও সিস্টেমের ব্যর্থতা মেনে নিতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছে রেলও।
দুর্ঘটনার পর বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে বলছেন, ‘এই ঘটনা আরও একবার রেলের ব্যর্থতা এবং অসংবেদনশীলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। প্রয়াগরাজগামী পুণ্যার্থীরা যে ভিড় জমাবেন সেটা তো প্রত্যশিতই ছিল। তাহলে রেলের তরফে আগে থেকে ব্যবস্থা করা হল না কেন? সরকার এবং প্রশাসনের এটা সুনিশ্চিত করা উচিত ছিল যে গাফিলতি আর অব্যবস্থায় যেন কারও প্রাণ না যায়।’ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলছেন, “মোদি সরকার তথ্য চাপার চেষ্টা করছে। দিল্লির ঘটনায় সব মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা প্রকাশ্যে আনা হোক।”
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী বলছেন, ‘কুম্ভ যাত্রীদের নিয়ে ছেলেখেলা করছে সরকার। না প্রয়াগরাজে কোনওরকম বিলি ব্যবস্থা রয়েছে। না বিভিন্ন রাজ্য থেকে যাত্রীদের যাওয়ার কোনও সুব্যবস্থা।” বহুজন সমাজ পার্টির তরফেও সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনার জন্য রেল ও কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতাকে নিশানা করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে এই পরিস্থিতি হল কেন? রেল কি দায় এড়াতে পারে? প্রথমত দুটি ট্রেন লেট। এতটাই ‘লেট’ যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ট্রেনদুটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বিভ্রান্তিকর ঘোষণা শোনা গিয়েছে বলে দাবি। চমকপ্রদ বিষয় হল, প্রয়াগরাজ যাওয়ার জন্য দেড় হাজার যাত্রী অসংরক্ষিত টিকিট কেটেছিলেন। এত বিশাল সংখ্যক অসংরক্ষিত টিকিট বিক্রির পরও কোনওরকম সচেতনতামূলক পদক্ষেপ করা হয়নি।
এই কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান উতের।

Exit mobile version