ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে মন্তব্য ঘিরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ইস্যুতেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে বরখাস্ত হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা-বিধায়ক আবু আজমি। গোটা অধিবেশন থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার বিধানসভা বিষয়ক মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাটিল এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যা পরে পাশ হয়। এর ফলে চারবারের বিধায়ক আজমিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
এর আগে আজমি দাবি করেছিলেন যে তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি ইতিহাসবিদ ও লেখকদের বক্তব্যের ভিত্তিতেই কথা বলেছি। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ বা সম্ভাজি মহারাজের বিরুদ্ধে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করিনি। তবুও যদি কারও অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, আমি আমার কথা প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইছি।”
তবে বিজেপি তাঁর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং প্রশ্ন তুলেছে, কেন ইন্ডিয়া ব্লকের সদস্যরা ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করছেন।
এই বিতর্কের মাঝেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “শিবাজির মতো মহাত্মাকে যারা অপমান করে, তাদের ধিক্কার। ওঁকে উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দিন, চিকিৎসা করে দেব।”
এদিকে, আজমি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এটি শুধু আমার বিরুদ্ধে নয়, বরং লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধেও অবিচার। সরকারের কাছে আমি জানতে চাই, মহারাষ্ট্রে কি দুই ধরনের আইন চলছে—একটা আমার জন্য, আরেকটা প্রশান্ত কোরাৎকার ও রাহুল শোলাপুরকারের জন্য?”
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় আজমিকে বলতে শোনা যায়, “ভুল ইতিহাস দেখানো হয়েছে ‘ছাবা’ ছবিতে। ঔরঙ্গজেব অনেক মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। আমি মনে করি না, তিনি নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন।” তাঁর এই বক্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। বিজেপি নেত্রী নবনীত রানা দাবি করেছেন, “যাঁরা ঔরঙ্গজেবকে ভালোবাসেন, তাঁরা নিজের বাড়িতে তাঁর কবর সাজিয়ে রাখুন। মহারাষ্ট্র থেকে মুঘল সম্রাটের কবর সরিয়ে দেওয়া হোক।”