এক বছর, দুই বছর করে চাকরির নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে গেছে। আবার চাকরির আশায় বিয়েও করা হয়নি। এখন এক প্রকার ছিন্নভিন্ন জীবন নিয়ে আন্দোলন করছেন আর কাঁদছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
পুজোতেও আনন্দ করতে পারেনি। এক এসএসসি চাকরি প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,’ জীবনের একটা বড় সময় পড়াশোনা করলাম। তারপর চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিলাম। পাসও করলাম, প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল স্কুলে চাকরি করার পর বিয়ে করবো। কিন্তু আজ পর্যন্ত চাকরিও হয়নি, বিয়ে করাও হয়নি। এখন আর বিয়ের কথা মনে পড়ে না, কিভাবে বাকি জীবনে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাবো সেই চিন্তা করছি। কী কষ্টে যে প্রতিটা দিন রাত কাটছে তা কেবল আমিই জানি’।
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে শহীদ মিনারের কাছে মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনে এসে আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী শিশির মাইতি বলেন,’ আমার বয়স ৪১ এর বেশি। বাড়িতে বৃদ্ধা মা আছেন, চাকরি না পেলে আমি কী করে বিয়ে করবো!’
পূর্ব বর্ধমানের ইজাবুল সেখ জানান, বাড়িতে বোন রয়েছে। তাদের বিয়ে দিতে পারিনি। আমি টিউশনি করে খাই। এই অবস্থায় যদি আপার প্রাইমারিতে চাকরি না পাই তাহলে আর চাকরি পাওয়া হবেনা। যদি নিয়োগ না পাই তাহলে আমার পরিবার শেষ হয়ে যাবে। চাকরির নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে গেছে বলেও আক্ষেপ তার।
বেশ কিছু মহিলারও বিয়ে হয়নি। তারা বলছেন, চাকরি পেলে বিয়ে করবো সেই আশায় বসে আছি। কিন্তু কবে নিয়োগ হবে জানা নেই।
এসএসসি, এমএসসি থেকে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, সর্বত্র এমন অনেক ছেলেমেয়ে আছেন যাদের বিয়ে হয়নি। তাদের অনেকের বয়স ৪০ এর উপরে। আবার এমন অনেক মহিলার খোঁজ পাওয়া গেছে যাদের ঘরে ছোট ছোট সন্তান আছে। কেউ আবার পেটে সন্তান নিয়ে চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন, কিন্তু পাস করেও চাকরি পাননি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, অযোগ্যদের চাকরি দিতে গিয়ে যোগ্যদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, সবাইকে নিয়োগ দিয়ে রাজপথ থেকে স্কুলে ফেরানো হোক।
রাষ্ট্র প্রধানকে ভালোবাসা দিয়ে সংখ্যালঘুদের মাথায় হাত রাখতে হবে
আমাদের দেশে এতো সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও শাসক দলের প্রধান কোনোদিন বৈঠক করেননি। আখলাক, জুনাইদ, পেহলু খান, তাবরেজ, সাবির, আফরাজুল...