রাজ্যের কয়েকটি স্থানে অশান্তির অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার ওই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের চারটি জেলার কিছু অংশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানান। তবে হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানায়, পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর থেকেও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হলে অসুবিধা কোথায়? রাজ্যের ক্ষমতায় তারা (কেন্দ্রীয় বাহিনী) হস্তক্ষেপ করবে না। শুধুমাত্র পুলিশকে সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অতীতে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলা এবং আরও বেশ কিছু মামলায় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা-ও স্মরণ করায় আদালত।
এদিকে হাইকোর্টের বিচারপতির প্রশ্নে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অর্ক নাগ জানান, এখনও পর্যন্ত ১৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক দায়িত্বে রয়েছেন। নতুন করে কোনও উত্তেজনা দেখা দেয়নি। তবে সব শুনে শেষমেষ মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিকে মুর্শিদাবাদের ঘটনার পর শান্তির বার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্য পুলিশ। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শান্তির বার্তা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে এলাকা শান্ত। নিরাপত্তা বাহিনীর টহল চলছে।