তৃণমূল ও বিজেপি বোঝাপড়ায় রাজ্যের মানুষ বিচার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেন সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
এসএফআই বারাকপুর আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেন, “দেশ ও রাজ্যে প্রতিদিন খুন-ধর্ষণ সহ নারী নির্যাতনের ঘটনা একের পর ঘটে চলেছে। মানুষ বিচার পাচ্ছে না। গত তেরো বছরে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে। কোনো ঘটনার বিচার হচ্ছে না। মানুষ বিচার পাচ্ছে না। দুর্নীতির ঘটনায় অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রমান লোপাট হয়েছে। সিবিআই ৯০ দিনেও চার্জশিট জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। সিবিআই, ইডির ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কেন এরা তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করতে পারবে না। এদের পেছনে কী রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে? মানুষ বিচার চাইছে। বিচারের দাবিতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে ভাঙতে রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে।
সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ভারতবর্ষের মানুষ যখন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে, তখন ব্রিটিশদের পক্ষে দাড়িয়েছে আরএসএস ও হিন্দু মহাসভা। এই রাজ্যে দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করেছে তৃণমূল। আরজি করের আন্দোলন একটা বারুদের স্তুপে কাঠি জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই রাজ্যে বিচারের দাবিতে এত বড় গণআন্দোলন আগে কখনও হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। এই রাজ্যে দুর্নীতি ও দুস্কৃতীরাজ শেষ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল ও বিজেপি একই পথে বিভাজনের রাজনীতি করছে। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করতে চাইছে। ধর্মকে রাজনীতির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে তাঁরা। জাতের নামে, ধর্মের নামে, বর্নের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে। এরা সংবিধানও মানতে চায় না। আরএসএস’র মতাদর্শকে রুপায়িত করতে চাইছে বিজেপি। দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চাইছে। এই রাজ্যে তৃণমূল একইভাবে বিভাজনের রাজনীতি করছে। এই দুই দুঃশাসনের হাত থেকে দেশ ও রাজ্যেকে রক্ষা করতে হবে। মানুষের ঐক্যকে সুদৃঢ় করে তৃণমূল ও বিজেপির বোঝাপড়ার রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই তীব্রতর করতে হবে।