অশান্তি বাঁধানোর ছক ভেস্তে দিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। বনগাঁর গোপালনগর থানা এলাকার আকাইপুর স্টেশনের শৌচাগারের পাশ থেকে পাকিস্তানি পতাকা উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ দুজনকে চন্দন মালাকার এবং প্রজ্ঞাজিৎ মণ্ডল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জেরায় তারা জানিয়েছে, তাদের পরিকল্পনা ছিল আরও বৃহৎ। বিতর্কিত স্লোগান লেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জাল ধরা পড়ল সনাতনী ঐক্য মঞ্চের ওই দুই কর্মী। এই ঘটনা সামনে আসতেই সকলে অবাক! ধৃতরা আকাইপুরেরই বাসিন্দা।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন,’ নজর রাখুন। সজাগ থাকুন। মানুষকে জানান।
নিজেরাই অকাজ করে উত্তেজনা তৈরির খেলা।’
সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান টিডিএন বাংলাকে জানান, ‘ আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, সাম্প্রদায়িক শক্তি রাজনীতির জন্য দেশের মানুষের মধ্যে কীভাবে বিভেদ তৈরি করছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কেউ যেন হিংসা ছড়াতে না পারে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, চন্দন মালাকার ও প্রজ্ঞাজিত মন্ডলকে আরো জেরা করে জানা হোক, এর পিছনে আর কে কে আছে। যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।’
এদিকে বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, বুধবার গোপালনগর এলাকা থেকে পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে নাশকতার ছক কষে ছিল দুজন। শুধু তাই নয়, সেখানে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ, হিন্দুস্থান মুর্দাবাদ’ স্লোগানও ব্যবহার করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোপালনগর থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম চন্দন মালাকার ও প্রজ্ঞাজিত মন্ডল। বাড়ি গোপালনগর এলাকায়।” অভিযুক্ত চন্দন মালাকার সনাতনী ঐক্য মঞ্চের কর্মী বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘যাঁরা ষড়যন্ত্র করে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
অন্যদিকে বনগাঁ সংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন,’বিজেপি কর্মীরা চক্রান্ত করে সম্প্রীতি নষ্ট করে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে ৷ এটাই তার সবচাইতে বড় প্রমাণ। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত করে দেখা হোক, আরও অনেকে যুক্ত আছে।’