ট্রেনে এক বৃদ্ধকে চড় ঘুসি মারার পর ঐ মহিলার বিরুদ্ধেও পুলিশের কড়া পদক্ষেপ দাবী করলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এক বিবৃতিতে নওশাদ সিদ্দিকী লিখেছেন,’নবদ্বীপ থেকে মালদা গামী এক ট্রেনের মধ্যে এক বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে এক কমবয়সী মহিলা যেভাবে অসভ্য আচরণ করছে, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে, সেই ভিডিও দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। বিদ্বেষ কোন পর্যায়ে গেলে এইরকম কেউ আচরণ করতে পারে? এটা কিন্তু পশ্চিম বাংলায় হচ্ছে, উত্তর প্রদেশ বা রাজস্থানে নয়। ঐসব রাজ্যের ভাইরাস এই রাজ্যেও ঢুকে পড়েছে। মুখে দাড়ি দেখলে তার সঙ্গে এইরকম অসভ্যতা করা যায়? তাহলে তো বাসে ট্রেনে যাতায়াত মুশকিল হয়ে পড়বে। এটা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বাইনারি পলিটিক্সের ভয়াবহ পরিণাম। আমি এই অভব্য আচরণের তীব্র নিন্দা করছি।’
নওশাদ সিদ্দিকীর মন্তব্য,’যদি এটা ধরেও নেওয়া হয় যে এই মানুষটি কোন অপরাধ করেছে, তাহলে আইন মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল এবং দোষী হলে আইন মোতাবেক তিনি শাস্তিও পাবেন। ঐ মহিলা কিন্তু পুলিশের কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নি। তিনি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ঐ বৃদ্ধ মানুষটির ওপর চড়াও হয়েছেন, গালিগালাজ করেছেন। এইসময় মানুষটি গণপ্রহারের শিকারও হয়ে যেতে পারতেন। এটাতে তো সম্পূর্ণ উত্তর প্রদেশ বা রাজস্থানের ছায়া দেখতে পাচ্ছি।’
আইএসএফ চেয়ারম্যান লিখেছেন ,’আমার প্রশ্ন রেল পুলিশ কি করছিল? তারা এখনও কেন এই বিষয়ে সুয়ো মোটো তদন্ত করছে না? রাজ্য প্রশাসনেরই বা ভূমিকা কি? তারাও কি কোন তদন্ত শুরু করেছে? উল্টে ডিজিটাল মিডিয়াগুলিকে, যারা এই খবর করেছে, তাদের সাংবাদিকদের পুলিশ ফোন করছে ও এই ভিডিও মুছে দিতে চাপ দিচ্ছে। এটা তো সরাসরি গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার অপচেষ্টা। এইভাবে ডিজিটাল মিডিয়াগুলিকে খবর চেপে দেওয়ার অপপ্রয়াস কে নিন্দা জানাচ্ছি।’
তিনি আরো জানিয়েছেন ‘খবরে দেখেছি, ঐ মহিলাকে চিহ্নিত করাও গেছে। অবিলম্বে ঐ মহিলার বিরুদ্ধেও পুলিশের কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজেকে আইন-আদালত-বিচারব্যবস্থা- পুলিশ -প্রশাসন তথা আইনকানুনের উর্ধ্বে তুলে তিনি অতি গর্হিত অন্যায় করেছেন। এইরকম ঘটনা কোনমতেই বরদাস্ত করা যাবে না।’