পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতি হোলিকে ভয়ের উৎসবে পরিণত করার অভিযোগ তুলেছেন। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “কিছু ধর্মান্ধ মানুষ দেশে হিন্দু ও মুসলমানদের পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিতে চাইছে।”
তিনি আরও বলেন, “হোলি উৎসব আমার কাছে বরাবরই গঙ্গা-যমুনার মিলনের প্রতীক। ছোটবেলায় আমি এই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করতাম, যাতে হিন্দু বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করতে পারি। কিন্তু আজ কিছু সাম্প্রদায়িক শক্তি এই উৎসবকে সংখ্যালঘুদের জন্য ভয়ের কারণ বানিয়ে ফেলেছে। আর এটি ঘটছে শাসকগোষ্ঠীর মদদেই। এখনই সময় ভারতের সব মানুষের জেগে ওঠার!”
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হোলিতে মুসলিমদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই বিজেপি-আরএসএসের নেতারা একের পর এক সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন মসজিদের ওপর ত্রিপলের আচ্ছাদন দেওয়া হয়েছে, যাতে হোলির আনন্দ উদযাপনে কোনো ‘বাধা’ সৃষ্টি না হয়। এমনকি রমজান মাসের দ্বিতীয় জুমার নামাজের সময়ও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি নেতা রঘুরাজ সিংয়ের নিদানের পর, উত্তর প্রদেশ প্রশাসন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মসজিদের গায়ে ত্রিপল চড়াতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, “মুসলিমরা হোলির দিন ত্রিপলের হিজাব পরে বাইরে বের হোন, মসজিদ ঢেকে রাখুন— তাহলে আর কোনও সমস্যা হবে না!”
এ বছর হোলি পড়েছে শুক্রবারে, যা মুসলিমদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবারের নামাজের সময় যাতে হোলির সঙ্গে না মেলে, তাই অধিকাংশ মসজিদ নামাজের সময় পিছিয়ে দিয়েছে। অথচ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার পরিবর্তে আরও উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন।