ঋণের বোঝা আর চরম অবসাদের ফলে হায়দরাবাদে আত্মঘাতী হল একটি গোটা পরিবার। পরিবারের চারজন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘর থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে উঠে এসেছে তাদের মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার করুণ চিত্র।
সূত্রের খবর, মৃত চন্দ্রশেখর রেড্ডি এবং তার স্ত্রী কবিতা দীর্ঘদিন ধরেই ঋণের চাপে ছিলেন। ২০২৩ সালে চাকরি হারিয়ে আর্থিক সঙ্কটে পড়েন চন্দ্রশেখর। সংসার চালাতে এবং দুই সন্তানকে বড় করার জন্য একাধিক জায়গা থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজেদের সন্তানদের খুন করার পর আত্মঘাতী হন দম্পতি। সোমবার রাতে বাড়ির দুটি ঘর থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের ছেলে পঞ্চম শ্রেণির এবং মেয়ে নবম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। পুলিশ মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
বেকারত্ব ও আর্থিক সঙ্কটের জেরে গোটা দেশেই আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। অনেকেই পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা পরবর্তীতে তাদের জন্য অসহনীয় বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঋণের দায় মেটাতে না পেরে অনেকেই জীবন শেষ করার পথ বেছে নিচ্ছেন। এই ঘটনা সমাজের জন্য একটি ভয়াবহ সতর্কবার্তা।